ডুবে যাওয়ার ১০০ বছর পরেও বিশ্ব মনে রেখেছে টাইটানিককে। ১৯১২ সালে প্রথম সমুদ্র যাত্রাতে, সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক। ৬০ হাজার টন ওজন এবং ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করতে সেই সময় খরচ হয়েছিল ৭৫ লাখ ডলার। আর, এতদিন পারে আরে ফিরে আসতে চলেছে টাইটানিক। অবশ্য একেবারে নতুনভাবে ফিরে আসবে সেটি।টাইটানিকের আদলেই জাহাজ
গ্রিক পুরানের শক্তিশালী দেবতা টাইটানের নামে করা হয়েছিল সেই জাহাজের নাম। সেই জাহাজ ডুবে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ১৫০০জন। আর, এবার টাইটানিক-২ জাহাজ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান ধনকুবের প্রাক্তন এমপি ক্লাইভ পামার। যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে ওই জাহাজে ভ্রমণ করবেন ২৩৪৫ জন যাত্রী।
আইসবার্গের ধাক্কা লেগে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের আদলে একটি ক্রুজ জাহাজ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এই জাহাজটির নাম দেওয়া হয়েছে টাইটানিক-২। এর জন্য টেন্ডার দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাহাজ নির্মাতার সঙ্গে চুক্তি করা হবে। আগামী বছর জাহাজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
কেমন হবে সেই জাহাজ?
এই জাহাজটি ৮৩৩ ফুট লম্বা এবং ১০৫ ফুট চওড়া হবে। জাহাজটিতে থাকবে ৯টি ডেক। এর ৮৩৫টি কেবিনে প্রায় ২৩৪৫ জন যাত্রী থাকার ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রীই প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করবেন। এই জাহাজটি নির্মাণের ঘোষণার পর ক্লাইভের দল ৮ মিনিটের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছে।
তাতে জাহাজের বিন্যাস এবং এর কেবিনগুলি গঠন কেমন হবে তার একটি আভাস দেওয়া হয়েছে । এই জন্য ২০১২ সালে ব্লু স্টার লাইন নামে একটি কোম্পানিও চালু করেছিলেন ক্লাইভ। ওই কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্রুজে আসা যাত্রীদের ১৯ শতকের থিম অনুসারে সাজতে বলা হবে। তবে, এটি বাধ্যতামূলক হবে না।
কোভিডের কারণে থমকে যায় প্রকল্প
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে টাইটানিকের মতই, দ্বিতীয় জাহাজ নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন ক্লাইভ। কিন্তু নানা কারণে সেই কাজ তখন হয়নি। এরপরেই কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে, ক্রুজের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যায়। এখন ৬ বছর পর আবারও জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ধনকুবের।
ক্লাইভ জানান, সেটি দেশের মধ্যে শান্তির জাহাজ হিসেবে কাজ করবে এবং এর কোনও ‘ট্রাজেডি’ হবে না।