• India China Border Issue : অরুণাচল ইস্যুতে চিনের 'ট্যাঁ ফোঁ'-কে 'ফু' ভারতের, বেকায়দায় 'ড্রাগন' জিংপিংয়ের মুখে 'মিউ'
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • বারে বারে ভারতের মাটিতে অনুপ্রবেশ করেছে চিনের সেনা। অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখের অংশ সহ অঞ্চলকে নিজেদের বলেও দাবি করেছে চিন। ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে চিন-ভারতের যুদ্ধের পরেও নিজেদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে পিছিয়ে আসেনি চিন। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারবে না। যদিও বেজিং-এর দাবি, সীমান্ত বিরোধ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না।একে অপরকে বিশ্বাস

    সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন যে সীমান্ত বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত এবং চিনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারবে না। তারপরেই চিন দাবি করেছে যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, 'এই সীমান্ত বিরোধ দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব ফেলে না। আমাদের একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। এটা আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করবে এবং আমাদের সম্পর্ক মজবুত করবে।' তিনি স্বীকার করেন, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ নিয়ে এখনও দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    সম্পর্কর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন

    জয়শংকর বলেন যে চিন লিখিত চুক্তি গ্রহণ করে না। সেইসঙ্গেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী সীমান্তে রক্তপাত এবং লিখিত চুক্তিলঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন চিনকে। টোকিওতে অনুষ্ঠিত রাইসিনা গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, '১৯৭৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চিনের সীমান্তে শান্তি ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে, গালওয়ান সংঘর্ষর পরে সবকিছু বদলে গিয়েছে। আমরা, দুইদেশই অনেক বিষয়ে একমত নই। প্রতিবেশীরা লিখিত চুক্তি লঙ্ঘন করলে তা উদ্বেগের বিষয়। এতে তাদের সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।'

    এর আগে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জোহানেসবার্গে, ব্রিকস সম্মেলনের বৈঠকে বলেন যে ওই সংঘর্ষর পরে ভারত এবং চিনের মধ্যে কৌশলগত বিশ্বাস শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।

    গালওয়ান সংঘর্ষ

    ১৯৬৭ সালে, সিকিম-তিব্বত সীমান্তে লড়াইয়ে শহীদ হন ৮০জন ভারতীয় সেনা। ২০১৭ সালে, ভারত-চিন সীমান্তে ডোকলামে ৭৫দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুদেশের সেনা। ২০২২ থেকে একাধিকবার অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ে লালফৌজ। তবে সাম্প্রতিককালে দুদেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় পূর্ব লাদাখের সীমান্তে।

    সেখানের গালওয়ান উপত্যকায় , ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে অনুশীলনের অজুহাতে সেনা মোতায়েন করে চিন। ভারতও সেখানে সেনা মোতায়েন করে। লাইন অব কন্ট্রোলে গুলি চালানো হলে, সেই সংঘর্ষে ২০জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। তাতে চিনের ৩৮জন সেনা মারা যায় বলে জানা গিয়েছিল। যদিও চিন চারজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে।
  • Link to this news (এই সময়)