Election Commissioner Of India : ইসি নিয়োগ মামলায় কাল সুপ্রিম-শুনানি, নিয়োগ কবে? ধোঁয়াশা
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
এই সময়: কেন্দ্রের নতুন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় আগামী শুক্রবার, ১৫ মার্চ শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। এই মুহূর্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ছাড়া অন্য কোনও নির্বাচন কমিশনার নেই। নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে গত শনিবার ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ গোয়েল।তারপরে কেন্দ্র দ্রুত নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে বলে নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের খবর। কেন্দ্র নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না-জানালেও ১৪ বা ১৫ মার্চ এনিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল। এখন শীর্ষ আদালতে শুক্রবার মামলার শুনানির দিন স্থির থাকায় তার আগে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বৈঠক হবে কি না, সেটাই দেখার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কেন্দ্রের নতুন আইন চ্যালেঞ্জ করে কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন-প্রফিট সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং কংগ্রেস নেত্রী ডঃ জয়া ঠাকুর। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে বিষয়টি মেনশন করা হয়।
মঙ্গলবার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ যখন এডিআর-এর হয়ে মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়, তখন বিচারপতি খান্না নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদনের নির্দেশ দেন। এদিন বিচারপতি খান্না বলেন, ‘আমি এইমাত্র সিজেআই-এর কাছ থেকে বার্তা পেয়েছি। এই মামলাটি শুক্রবারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হোক।’
গত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেছিলেন অনুপ পাণ্ডে। অন্য নির্বাচন কমিশনার গোয়েল আবার গত শনিবার আচমকা ইস্তফা দেন। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ পদত্যাগ করছেন বলে তিনি জানালেও এখনও পর্যন্ত নিজে কোনও মন্তব্য করেননি গোয়েল। এই পরিস্থিতিতে নতুন আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত কমিটির শীঘ্রই বৈঠকে বসার কথা।
সেইমতো লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে বার্তাও পাঠানো হয়। যদিও এখনও বৈঠকের দিন নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। সামনেই লোকসভা ভোট রয়েছে। তার দিনক্ষণও খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। এখন নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত ভোটের দিন ঘোষণা হয় কি না, সেটাও দেখার।
সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছে, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যেভাবে ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে রাখার কথা বলা হয়েছে, তা কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে বলে অভিযোগ আবেদনকারীর। সেজন্য এই আইন বলে যাতে নতুন কমিশনার নিয়োগ না-করা হয়, তার আর্জি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।