Pratibha Patil hospitalised : জ্বর ও বুকে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
গুরুতর অসুস্থ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে পুনের হাসপাতালে। বুধবার রাতে তাঁকে পুনের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিভা পাটিল ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন তিনি। এখন ৮৯ বছর বয়স বয়স তাঁর।জানা গিয়েছে, জ্বর এবং বুকের সংক্রমণ নিয়ে তাঁকে পুনের ভারতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বুকে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এখন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সাংসদ হিসাবেও ছিলেন
গত বছরই মৃত্যু হয় প্রতিভা পাটিলের স্বামী দেবীসিংহ রামসিংহ শেখাওয়াতের। ১৯৬৫ সালের ৭ জুলাই বিয়ে হয় প্রতিভা পাটিলের। ১৯৩৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের নাদগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রতিভা পাটিল। তিনি ছিলেন একজন আইনজীবীও। তিনি ছিলেন কংগ্রেসের একজন সদস্য।
২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত, দেশের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। প্রতিভা পাটিল ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। এর আগে, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন লোকসভার সদস্য।
১৯৬২ সালে, মাত্র ২৭ বছর বয়সে , জলগাঁও থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে তিনি আরও চারবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন প্রতিভা পাটিল।
রাষ্ট্রপতি পদে বিতর্ক
প্রতিভা পাটিল রাষ্ট্রপতি হিসাবে থাকার সময়ে বিভিন্ন বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তিনি ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাজাকে যাবজ্জীবনে পরিণত করেছেন। এটি একটি রেকর্ড। সেই সঙ্গে তিনি বিদেশ সফরে বেশি অর্থ ব্যয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী যে কোনও রাষ্ট্রপতির চেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশ সফরের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
২০১২ সালের মে মাসে, পরিবারের ১১ জন সদস্যকে নিয়ে ২২টি দেশে গিয়েছিলেন। সেই সফরে খরচ হয় প্রায় ২০৫ কোটি টাকা বলে জানা যায়। এই নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী, পুনেতে সরকারি জমিতে ‘অবসর ভবন’ নির্মাণের জন্য পাবলিক ফান্ড ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।