• গজলডোবার জন্য অর্থবরাদ্দ মমতার, খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গের অন্যতম সরকারি ট্যুরিজম হাব গজলডোবার ‘ভোরের আলো’র উন্নয়নে আরও ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। বুধবার উত্তরকন্যা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে গজলডোবায় অর্থবরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জলপাইগুড়ি জেলায় বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল লাগোয়া তিস্তা নদীর পাড় ঘেঁসে তৈরি হওয়া এই পর্যটনকেন্দ্রটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারি রিসর্ট ছাড়াও বেসরকারি বাজেট হোটেলগুলিতেও প্রচুর ভিড় হচ্ছে। পর্যটনকেন্দ্রটি সাজাতে পাখিবিতান, নৌকাবিহার সমেত নানা সুবিধা চালু করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে থানা।

    তবে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবা হলেও, সেই কাজে এখনও হাত পড়েনি। তেমনই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভোরের আলোয় কনফারেন্স হল, ওয়েলনেস সেন্টার, রেস্তরাঁ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। বরাদ্দ টাকায় এই সমস্ত কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্রটিকে আরও সাজানো হবে। সেই জন্য ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’ এলাকার বিধায়ক তথা গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য খগেশ্বর রায় বলেন, ‘ভোরের আলোয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে আরও কিছু পরিষেবা নিয়ে ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সেগুলিই এ বার রূপায়ণ করা হবে।’

    গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্রে রাজ্য সরকারের অর্থ বরাদ্দে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘গজলডোবায় যাওয়ার পথে করতোয়া নদীর উপরে সেতু ভেঙে গিয়েছে। সেটির মেরামতি দরকার। আশা করি, এ বার জেলা প্রশাসন অর্থ বরাদ্দ করবে। তেমনই ভোরের আলোয় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং রেস্তরাঁও দরকার। তাহলে পর্যটকদের সুবিধে হবে।’

    গজলডোবা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জলপাইগুড়ি জেলার উন্নয়নেও দু’হাত উপুড় করে অর্থ বরাদ্দ করেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। ওই টাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য দু’টি পৃথক হস্টেল তৈরি করা হবে। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একশো শয্যার একটি ওয়ার্ড তৈরি করা হবে।

    জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের জন্য একশো শয্যার দু’টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ওয়ার্ড তৈরি করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যা থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ৩৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ওই প্রকল্পগুলিতে ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আরও ৪৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ওই প্রকল্পগুলিতে ব্যয় হবে আরও ১৭৭ কোটি টাকা।

    এদিন অডিটোরিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাঁচশো চা-শ্রমিকের হাতে জমির পাট্টা এবং ঘর তৈরির জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিলি করেন। পাশাপাশি, কাওয়াখালিতে এসজেডিএ-র তৈরি নিম্নবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাটের চাবিও উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা বলি সেটাই করি। প্রথমে চা-সুন্দরী প্রকল্প তৈরি হয়। পরে ঠিক হয়, শ্রমিকেরা যেখানে থাকেন সেই জমির পাট্টা পাবেন। পাশাপাশি ঘর তৈরির টাকাও দেওয়া হবে।’
  • Link to this news (এই সময়)