• নিশীথকে হারিয়ে তবেই মৎস মুখ! পণ করলেন রবীন্দ্রনাথ, ভোট-রঙ্গ কোচবিহারে
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার অপেক্ষায়। প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মানুষের কাছে তুলে ধরছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এসবের মাঝেই ভোট-রঙ্গ শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে। কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে না হারানো পর্যন্ত মাছ খাবেন না বলে জানালেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।নিশীথ প্রামাণিককে না হারিয়ে তিনি আমিষ খাবার খাবেন না। এমনই 'পণ' করলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার কোচবিহার পুরসভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নিশীথ প্রামাণিক গত ৫ বছর কোচবিহার জেলার মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। কোচবিহারের মানুষ গত ৫ বছরে মানুষ তাঁকে দেখেনি। তাই তাকে হারিয়েই মৎসমুখ করবো।

    ইতিমধ্যে, কোচবিহার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্বাচনী প্রচারের একটি সভা থেকে বিজেপির নেতাদের আক্রমণ করে রবীন্দ্রনাথ কটাক্ষ করে জানান, ওদের গোচনা খাওয়ার অভ্যাস আছে। গোচনার পাশাপাশি ওদের গোবরজল খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পালটা বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ সভানেত্রী দীপা চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি যদি আমাদের পণ করে থাকেন নিশীথকে না হারিয়ে মাছ খাবেন না, তাহলে ওঁকে সারাজীবন নিরামিষ খেয়ে থাকতে হবে।’

    সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই প্রার্থী ঘোষণা করে জোর প্রচারে নেমে পড়েছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। অপরদিকে, তৃণমূলের প্রার্থী সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই কেন্দ্রে ৫৪ হাজার ভোটে জয়ী হয়।

    এই জেতা আসনটি এবার ফের জিততে মরিয়া বিজেপি। অপরদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব এই আসন পুনরুদ্ধার করতে দিনরাত এক করে দিচ্ছে। এসবের মধ্যেই বুধবার কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ভোটের সময় আমি নিরামিষ খাই। এতে শরীর সুস্থ থাকে। ভোটপ্রচার করতে সুবিধা হয়। তবে এবারে পণ করেছি নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়েই মৎস মুখ করবো। ভোট নিয়ে একাধিক পণ, প্রতিজ্ঞা এর আগেও দেখা গিয়েছে। যত ভোট এগিয়ে আসবে, এই ধরণের কার্যকলাপ আরও বাড়বে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
  • Link to this news (এই সময়)