গত সোমবার থেকেই দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। নরেন্দ্র মোদীর সরকার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিভিন্ন দলের নেতারা। একইভাবে এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে মত দিয়েছে আমেরিকা এবং জাতিসংঘ। কিন্তু এই আইন কার্যকর হতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারাও। অনেকেই মোদীকেই আসল নেতা হিসাবে মন্তব্য করেছেন।সিদ্ধান্তের প্রশংসা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিমরা এবং ২০১৪ সালের আগে থেকে ভারতে বসবাসকারীরা নাগরিকত্ব পেতে পারবেন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে যারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ভারতে বসবাসরত পাকিস্তানি শরণার্থীরা এইজন্য শুধুমাত্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করছেন না, পাকিস্তানে বসবাসকারী লোকজনও এটাকে খুবই ভালো বলছেন। পাকিস্তানের সোহাইব চৌধুরী নামের একজন ইউটিউবার ভারতে CAA বাস্তবায়ন সম্পর্কে সেখানের দেশের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন । তাতেই উঠে এসেছে সেই প্রতিক্রিয়া।
মোদীই আসল নেতা
ওই ইউটিউবারের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এক পাকিস্তানি যুবক বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের লোকেরা ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের’ কথা বলি। কিন্তু আমাদের ভ্রাতৃত্ব মিথ্যা।' তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানের উদ্বাস্তুরা ৪০ বছর ধরে পাকিস্তানে বসবাস করছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা তাদের নাগরিকত্ব দেইনি। উলটে তাদের উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।'
একই সময়ে, ভারত সেখানে হিন্দু ভাইদেরকে তার দেশের নাগরিকত্ব দিচ্ছে। যারা অন্যান্য দেশে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও ভারত এটি দিচ্ছে। এতে শুধু হিন্দু নয় শিখদেরও অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারত। পাকিস্তানের একাধিকজন মনে করেন, মোদী একজন প্রকৃত নেতা। তিনি জানেন ওই মানুষগুলি নাগরিক হয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।
সীমান্ত খুললেই…
যারা সিএএ-র সমালোচনা করছেন তাদেরকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানি যুবক। তিনি বলেন, 'দয়া করে বলুন পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের ভারতে যাওয়ার কারণ কী? গত ৪০ বছরে কত নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে তার উত্তর দেওয়া উচিত। কেন পাকিস্তানে বসবাসরত হিন্দুদের মৌলিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা হচ্ছে না?'
পাকিস্তানি যুবকরা বলেন, 'আজ পরিস্থিতি এমন যে সীমান্ত খুলে দিলে পাকিস্তানে বসবাসকারী সমস্ত হিন্দু ভারতে চলে যাবে। আর, ভারতের বাকি অংশ বাদ দিন, কাশ্মীর থেকেও পাকিস্তানে মুসলমানদের আসতে পাবেন না।' তাঁরা জানান, ইরান, আফগানিস্তান বা প্রতিবেশী কোনও দেশের সঙ্গেই পাকিস্তানের সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়।