• মাছ ধরতে গিয়ে মিলল গুপ্তধন! রাতারাতি কোটিপতি পাকিস্তানের মৎস্যজীবী
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন পাকিস্তানি এক মৎস্যজীবী। তাঁর জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ক্রোকার মাছ। তাতেই মালামাল হয়েছেন তিনি। কারণ হানিফ কাটিয়ার ও তার সঙ্গীদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ৩ হাজার ক্রোকার মাছ। এর মূল্য কয়েক কোটি টাকা।ভাগ্য বদল

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া ওই মৎস্যজীবী সেখানে পেয়েছেন ওই ক্রোকার মাছ। সেটাই তাদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, ইব্রাহিম কোস্টাল মিডিয়া সেন্টারের মুখপাত্র কামাল শাহ জানিয়েছেন যে হানিফ এবং তাঁর সঙ্গীরা ঠাট্টা জেলায় অবস্থিত কেটি বান্দর বন্দরের কাছে একটি বিরল প্রজাতির ক্রোকার মাছ ধরেছে। এই মাছের মূল্য কোটি টাকার বেশি।

    দাম শুনেই বিস্মিত

    আগেও ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছেন হানিফ। এবারও তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা কেটিবন্দরের কাছে নৌকায় মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এক ঝাঁক ক্রোকার মাছ তাদের জালে আটকা পড়ে দেখে চমকে যান। পরে এই বাজারদর জানতে পেরে তিনি বিস্মিত হন। তাঁরা জানতে পারেন এটি বিরল মাছ এবং বাজার মূল্য কোটি টাকা। তা শুনেই আনন্দের সীমা ছিল না তাঁদের।

    কেন এত দাম?

    কামাল শাহ বলেন, ক্রোকার মাছ মূলত পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। এই মাছ পাওয়া যায় দক্ষিণ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার উপকূলে। এটি সাধারণত উপসাগর এবং মোহনায় বালুকাময় বা কর্দমাক্ত তলদেশে পাওয়া যায়। তবে কী কারণে এতদূরে ওই মাছ পাওয়া গিয়েছে এবং কীভাবে মাছগুলি এসেছে সেটা বলতে পারেননি তিনি।

    কামাল জানান, এই মাছ প্রতি কেজি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এর বায়ু মূত্রাশয়ের দাম আকাশচুম্বী। ক্রোকার মাছের বায়ু মূত্রাশয় এবং এতে থাকা চর্বি অস্ত্রোপচারের সুতো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

    চিনে এয়ার ব্লাডারের চাহিদা

    চিনা খাবারে ক্রোকার মাছের বায়ু মূত্রাশয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, চিনাদের মধ্যে, ক্রোকারের বায়ু মূত্রাশয় রাখাকে সম্পদের প্রতীক হিসাবেও দেখা হয়। চিনের বাসিন্দারা ক্রোকার মাছের শুকনো বায়ু ব্লাডার রাখে। শুকনো মাছের ব্লাডার প্রতি কেজি ২০ থেকে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার হিসাবে বিক্রি হয় বলেও জানা গিয়েছে।

    ক্রোকার এক ধরনের পরিযায়ী মাছ এবং উপকূলীয় এলাকায় দলবদ্ধভাবে পাওয়া যায়। বর্তমানে পাকিস্তানের সামুদ্রিক এলাকায় এর সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমেছে।
  • Link to this news (এই সময়)