Amit Shah On CAA: CAA কি প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে? মুখ খুললেন অমিত শাহ
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
সদ্য দেশে কার্যকর হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তবে আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। বিরোধীরা এই আইনকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যা দিচ্ছেন। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন তাঁরা নিজেদের রাজ্যে সিএএ কার্যকর হতে দেবেন না। সিএএ আইন প্রত্যাহারের দাবি জোরালো হচ্ছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কি প্রত্য়াহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, '২০১৯ সালে বিজেপি ইস্তাহারে সিএএ-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিল পাশ হয়ে গিয়েছিল। তবে করোনার মহামারীর কারণে তা কার্যকর করাতে দেরি হল। বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করতে চাইছে। সিএএ বিজেপির কাছে রাজনীতির বিষয় নয়। বিজেপি চায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয় সিএএ। ভয় পাওয়ার কারণ নেই দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের। কংগ্রেসের তোষণের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। নরেন্দ্র মোদী সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানে ২৩ শতাংশ হিন্দু ছিল, তা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশে। কোথায় গেলেন তাঁরা? তাঁরা তো কেউ ভারতে আসেননি। আফগানিস্তানে ২ লাখের বেশি হিন্দু ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্য়াটা ঠেকেছে কমবেশি পাঁচশোতে। তাঁদের কি নিজের ধর্ম-বিশ্বাসে বাঁচার অধিকার নেই? মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না। এই আইনে একটি ধারা দেখান যেখানে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সংস্থার রয়েছে। আসলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হিন্দু-মুসলিমদের মধ্য়ে বিভেদের চেষ্টা করছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হয়তো অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। বাংলায় খুব শীঘ্রই বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে বাংলায়। সিএএ কখনও প্রত্য়াহার করা হবে না। কোনও রাজ্য আটকাতে পারবে না। সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই।'
আইন পাশ হওয়ার সাড়ে চার বছরের মাথায়, লোকসভা ভোটের মুখে সিএএ কার্যকর করেছে মোদী সরকার। তা নিয়েই এখন জোর তর্ক-বিতর্ক দেশের রাজনীতিতে। বিজেপি এবং কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'অসমে আপনারা দেখেছেন, এরা মুসলিমদের তো টোটাল রাষ্ট্রহীন করে দিতে চায়। এই আইনের মধ্যে হিন্দু আছে, বৌদ্ধ আছে, শিখ আছে, জৈন আছে, পার্সি আছে। এটা মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা। একদিকে ইডি, একদিকে সিবিআই, একদিকে সিএএ, আর CAA-র ভাই হচ্ছে NRC। সেই জন্য আমাদের বিরোধিতা করতে হচ্ছে। ভোটে আমাদের বড় ইস্যু হবে সিএএ।'