• One Nation One Election: লোকসভার মুখে 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে রিপোর্ট জমা, কমিটির সুপারিশে কী কী?
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • রাষ্ট্রপতির কাছে 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাষ্ট্রপ্রতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিল 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নীতি কার্যকর করার লক্ষ্য়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারে গড়া কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটির প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে রিপোর্টটি তুলে দেন। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কমিটির অন্য় সদস্যরা। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দেয় কোবিন্দের কমিটি। একযোগে দেশে নির্বাচনের জন্য সংবিধানের শেষ পাঁচটি অনুচ্ছেদ সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে। রিপোর্ট তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৯১ দিন। একাধিক বিষয় সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে।রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য ভাবে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট প্রথম ধাপে আয়োজনের পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে পুর কর্পোরেশন, পুরসভা, নগর পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি এমনভাবে যুক্ত করা উচিত, যাতে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, যে কোনও রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদ যদি লোকসভা ভোট পার করে থাকে সেক্ষেত্রে কী হবে?

    কমিশনের সুপারিশ লোকসভা ভোট পর্যন্ত রাজ্যের বিধানসভাগুলির মেয়াদ করা হোক। এছাড়াও যদি কক্ষ ত্রিশঙ্কু হয় বা যদি বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তাহলে কমিটির সায় নতুন নির্বাচনের পক্ষেই রয়েছে। তবে এই নির্বাচন ওই ৫ বছরের বাকি সময়ের মেয়াদকালের জন্য করা হোক বলে সুপারিশ।

    কমিটির সুপারিশ ঝুলন্ত হাউসের ক্ষেত্রে অনাস্থা প্রস্তাব আনা উচিত। এই অবস্থায় নতুন নির্বাচন হতে পারে। যদি রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে লোকসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই জাতীয় বিধানসভা তাড়াতাড়ি ভেঙে দেওয়া উচিত নয়।

    কমিটির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, একসঙ্গে সব নির্বাচন করানো গেলে, নির্বাচনী প্রক্রিয়াতেও যেমন রদবদল ঘটবে, তেমন শাসনকার্যেও বিবর্তন ঘটবে। ভারতে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য় করবে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'। রাজ্য নির্বাচন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় নির্বাচন কমিটিকে দেশের সব নাগরিকের জন্য একটি মাত্র ইলেক্টোরাল রোল এবং ভোটার কার্ড তৈরি করতে পারে।

    বর্তমানে দেশে আলাদা আলাদ ভাবে সম্পন্ন হয় লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন। এক সরকারের কার্যকালের মেয়াদ পূর্ণ হলে বা কোনও কারণে নির্বাচিত সরকারে পতন ঘটলে পুনরায় নির্বাচন হয়। আগাগোড়া একসঙ্গে দেশের সব নির্বাচনের সপক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহারে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর প্রতিশ্রুতি ছিল। তবে বিরোধীরা এই 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে বিরোধিতা করছেন বরাবরই। তাঁদের দাবি, 'এক দেশ এক নির্বাচন' হলে উপেক্ষিত থেকে যাবে রাজ্যের স্থানীয় সমস্যাগুলি। একসঙ্গে সব নির্বাচন হলে বড় দলগুলি যে পরিমাণ অর্থ খরচ করবে তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবে না ছোট রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি, নির্বাচনের পর পর সরকার পড়ে গেলে, কী ঘটবে, সেই নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার উল্লেখ নিয়ে বলেও দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে।
  • Link to this news (এই সময়)