‘যাঁকে ইচ্ছে ভোট দিন…’, জলপাইগুড়ির সভায় কেন এমন দাবি অভিষেকের?
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
উত্তরবঙ্গ থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়নাগুড়ি থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলার প্রার্থীদের জন্য প্রচার সারলেন অভিষেক। সেই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘যাঁকে ইচ্ছা ভোট দিন।’ কিন্তু, নিজের দলের প্রচারে গিয়ে কেন এমন বললেন তিনি?বক্তব্যের মাঝেই অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের যাঁকে ইচ্ছা ভোট দিন। তৃণমূলকে দিন, সিপিএমকে ভোট দিন, কংগ্রেসকে ভোট দিন, বিজেপিকে ভোট দিন বা নির্দল প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু নিজের অধিকারকে দেখে ভোট দিন। এটাই বলতে আপনাদের কাছে এসেছি।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে ধর্মীয় রাজনীতিতে না বিশ্বাস করে কাজের ভিত্তিতে, নিজেদের অধিকারের দাবিকে সামনে রেখে ভোট দেওয়ার অনুরোধ অভিষেকের।
সভার শুরু থেকেই এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন অভিষেক। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি সভায় এসে মোদী কি গ্যারান্টি নিয়ে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ শুরু করেন অভিষেক। তিনটি কেন্দ্রে গতবার বিজেপির সাংসদ জয়ী হলেও তিনটি জেলা মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার বুথের মধ্যে একটি বুথেও বিজেপির সাংসদরা কাজের পর্যালোচনা নিয়ে বৈঠক করেনি বলে দাবি করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘এবারের ভোট জল, কল, বাড়ির সামনে রাস্তা আর মাথার উপর ছাদকে সামনে রেখে ভোট।’
লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের ডেলি প্যাসেঞ্জারি নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর করায়, যে বাংলায় থাকেই না, তাঁর থেকে মানুষ কেন গ্যারান্টি নিতে যাবে। ‘মোদী কি গ্যারেন্টি’ নামক স্লোগানে এবারের প্রচার পর্বে হাওয়া তুলেছে বিজেপি। সেই বিষয়টিকে নিয়েই সমালোচনা করে প্রচার মঞ্চ থেকেই বিজেপির প্রতিশ্রুতি থাকলেও উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক থেকে শুরু করে আবাস একাধিক ক্ষেত্রে সেগুলি পূরণ হয়নি বলে দাবি করেন অভিষেক।
এই সভার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি টুইট যুদ্ধ হয় বিজেপির। এদিন সকালেই টুইট করে অভিষেক জানান, একশো দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা আটকে রেখেছে সেটা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। পালটা, সময় ও স্থান জানানোর জন্য আবেদন জানিয়ে টুইট করে বিজেপি। ময়নাগুড়ির সভায় বিজেপির যে কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ জানান অভিষেক। এদিনের সভাতে গিয়ে বিজেপির কোনও নেতা শ্বেতপত্র নিয়ে হাজির হননি বলে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও, পরবর্তীকালে বিজেপির তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেউ দেখা করতে যাচ্ছেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে শেয়ার করতে কেউ চাইছে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির তরফে।