Covid-19: সিজন চেঞ্জের মরশুমে জ্বর কি কোভিড, বাড়ছে উদ্বেগ
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
এই সময়: সিজন চেঞ্জের মরশুমে ঠান্ডা লাগা চলছেই। সর্দি-কাশি-জ্বর-গলা ব্যথায় ভুগছেন অসংখ্য মানুষ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর নেপথ্যে অন্য নানা ভাইরাসের সঙ্গেই মিশে রয়েছে করোনাও। সে কারণেই গত এক সপ্তাহে সারা দেশে, বিশেষত উত্তর ভারতে সামান্য হলেও ঊর্ধ্বমুখী প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে কোভিড-গ্রাফে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ, শুক্রবার বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা।নভেল করোনাভাইরাস কী ভাবে নিরন্তর মিউটেশনের পরে রূপ বদলে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে, তার উপর নজরদারির জন্যই দেশের ৬৭টি জেনেটিক ল্যাব নিয়ে তৈরি ইন্ডিয়ান সার্সকোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (ইনসাকগ) তৈরি হয়েছিল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মূলত সেই ইনসাকগের কর্তারাই বৈঠক করবেন।
বাংলায় অবশ্য কোভিডের তেমন মাথাচাড়া দেখা যায়নি বলে খবর স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। দৈনিক যে ১০-১৫ জন পজ়িটিভ আসছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই থাকছে মৃদু উপসর্গ। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগই কোভিডের কারণে নয়, বরং অন্য কোনও অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এবং সেই সংখ্যাটাও খুব নগণ্য। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও হাতেগোনা রোগী ভর্তি ছিলেন গত একমাসে। পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র জানান, গত দু’ সপ্তাহে মাত্র একজনই কোভিড পজ়িটিভ ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের হাসপাতালে। অশীতিপর সেই বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে বাড়িও চলে গিয়েছেন। মণিপাল হাসপাতালে একজনও করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন না গত ১৫ দিনে।
উডল্যান্ডস হাসপাতালের সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালি বসু বলেন, ‘মৃদু উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে মোট ১১ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়েছে আমাদের হাসপাতালে। মার্চে একজনও কোভিড রোগী ভর্তি হয়নি।’ আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’ সপ্তাহে তিন জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন তাঁদের হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে দু’ জনের ছুটিও হয়ে গিয়েছে। মেডিকা সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধিকর্তা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গত ১৫ দিনে মাত্র দু’ জন করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আমাদের হাসপাতালে। কেউ-ই গুরুতর অসুস্থ হননি।’
তবে উত্তর ভারত, বিশেষত দিল্লির পরিস্থিতি এতটা সন্তোষজনক নয়। গত দু’-তিন সপ্তাহে সেখানে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে কোভিড। গত সপ্তাহেই একদিনে ৬৩ জন কোভিড পজ়িটিভ হয়েছেন শুধু দিল্লিতেই। গত বছর মে মাসের পর থেকে একদিনে ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হননি সেখানে। তবে সেখানেও অধিকাংশ রোগীরই মৃদু উপসর্গ। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন হাতেগোনা রোগী। তাঁদেরও অধিকাংশই অন্য রোগের কারণেই মূলত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থানেও সামান্য মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড। তবে বাংলা-সহ দেশের বাকি অংশে করোনা তলানিতেই।