সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের উত্থান বিগত কয়েক বছরে। নেটিজেনদের কাছে পরিচিত মুখ তরুণ প্রজন্মের এই দুই নেতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক আসন থেকে এবার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং সিপিএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক-ইউটিউব নয়, এবার আসল 'খেলা' রাজনীতির ময়দানে।ইতিমধ্যে ৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তমলুক আসন থেকে তরুণ নেতা ও দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আসনেই এবার সিপিএমের তরুণ মুখ তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল সিপিএম। তরুণ প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চিও জায়গা না ছাড়তেই এই পদক্ষেপ বামেদের বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বামেরা। কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনার মাঝেই আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তাঁরা। সেখানেই ঘোষিত সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় মুখ এবং আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তমলুক আসন থেকে লড়তে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সরব হতে দেখা গিয়েছে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিজের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি, রাজ্য তথা কেন্দ্রের একাধিক বিষয় নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যায় তাঁর বিশ্লেষণ নেটিজেনদের কাছে তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে গিয়েও বিতর্ক সভায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি 'পরিচিত মুখ'। সম পরিসরের তৃণমূলের তরুণ নেতা দেবাংশুর বিরুদ্ধে জোর লড়াই দিতেই তাঁকে প্রার্থী করল বামেরা।
উল্লেখ্য, এই আসন থেকে এবার বিজেপির হয়ে লড়তে পারেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ইতিমধ্যেই তমলুক গিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় পর্ব সেরে এসেছেন। গিয়েছিলেন অধিকারী নিবাস শান্তিকুঞ্জে। ফলত, তমলুক আসন যে এবার রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র হতে চলেছে এটি।
গতবারের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে তিনি বর্তমানে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত নেই। তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে অধিকারী পরিবার। কার্যত, অধিকারী গড়ে গিয়ে সিপিএম - তৃণমূল যুযুধান দুই দলের লড়াইয়ে কে জিতবেন, নাকি বিজেপি আসনটি ছিনিয়ে নেবে, সেটা বলবে ভোটের ফলাফল।