West Bengal By Election: লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন? জল্পনা
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
এখনও লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়নি। তবে ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাম এবং বিজেপি। ৪২টি আসনেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এবার এরই মধ্যে বাংলায় বিধানসভা উপনির্বাচন!মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের সময় বা তার পরে বাংলায় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে। মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে এবং ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁদের কেন্দ্রগুলি ফাঁকা। এছাড়াও সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তাপস রায়। বরানগরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাপস রায়ের ইস্তফার পর মোট ৩টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের সময় বা পরেই এই তিন কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করা হয়নি। উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এখনও নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সমস্ত দল।
সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয় ১০ মার্চ। সেই দিনটি ছিল রবিবার। সাত দফায় হয় নির্বাচন। ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল বিজেপি। ইতিমধ্যেই দফায় দফায় তালিকা প্রকাশ করছে বিভিন্ন দল। স্বাভাবিকভাবেই কবে ঘোষণা হবে নির্ঘণ্ট? সেই দিকে সব নজর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে সেই সময় এই উপনির্বাচনগুলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলি বিধায়ক শূন্য হওয়ায় পরিষেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রই ছিল তৃণমূলের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল।
অন্যদিকে, বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস শূন্য। ফলে তাদের কাছে উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ পদ্ম শিবিরও। সেক্ষেত্রে কি লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচন! জোড়ে ভোটের ডঙ্কা?
এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে চর্চা শুরু হয়েছে বিস্তর। সাধন পাণ্ডের পর মানিকতলা কেন্দ্রে সক্রিয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে দেখা গিয়েছে তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেকে। এলাকার বিভিন্ন দলীয় মিটিং-মিছিল এখন আয়োজিত হয় তাঁর তত্ত্বাবধানে। ফলে তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কোন দল কাকে প্রার্থী করে উপনির্বাচনে? এখন তাই দেখার।