CAA Law: CAA-র পর কি এবার NRC আসছে? ফের ক্রোনোলজি বোঝালেন অমিত শাহ
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সিএএ বিরোধিতার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ কার্যকর করা নিয়ে গলা চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। দাবি করেছেন, 'সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি-র সম্পর্ক রয়েছে।' সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, 'বর্ণবৈষম্যের সিএএ মানি না আমি।' তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, সিএএ ও এনআরসি সম্পূর্ণ আলাদা দু'টি বিষয়। কোনও সম্পর্ক নেই দু'টি বিষয়ের মধ্যে।
সিএএ-এনআরসি ক্রোনোলজি
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টর্মন্ত্রী অমিত শাহের মুখে বারবারই একটি বাক্য শোনা যেত। 'আপ ক্রোনোলজি সমঝ লিজিয়ে'! সহজ ভাষায় সিএএ ও এনআরসি-র কালানুক্রম ঘটনাপরম্পরা বোঝাতেন মোদীর সেনাপতি। অমিত শাহের ব্যাখ্যা ছিল, প্রথমে সিএএ আসবে। নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করা হবে। তার মাধ্যমে সমস্ত শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তার পরে এনআরসি আসবে। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশে এনআরসি আসবে। কারণ, অনুপ্রবেশকারীরা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের সমস্যা। শরণার্থীদের এনআরসি নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। তবে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিন্তার কারণ রয়েছে।
এই নিয়ে সাক্ষাৎকারে কী বলেন অমিত শাহ?শাহ বলেন, 'সিএএ নিয়ে দেশে এখন চর্চা হচ্ছে। এটির সঙ্গে এনআরসি-র সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত এই আইনের সঙ্গে কোনও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এখন বিরোধীদের যদি প্রশ্ন হয় যে কেন সিএএ-এনআরসি ক্রোনোলজি নিয়ে সংসদে চর্চা হয়েছিল। তাদের জানিয়ে রাখতে চাই কোনও আইন চালুর আগে সংসদে এরকম চর্চা হয়েই থাকে। দু'টি নিয়ে সংযুক্ত করে কী ফায়দা লুঠতে চায় বিরোধী দলগুলি? এখন শুধুমাত্র সিএএ নিয়েই চর্চা হচ্ছে।'
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সিএএ কী?
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এদেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। প্রতিবেশী এই তিন দেশ থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সিএএ-তে। তবে এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ এই আইন অনুযায়ী ওই ছয় সম্প্রদায় ছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও সম্প্রদায়ের শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়নি।