Bus Strike : বাস চালককে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক, ব্যাপক ভোগান্তি যাত্রীদের
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
মালদায় বন্ধ বেসরকারি বাস পরিষেবা। নিরাপত্তার দাবিতে ধর্মঘট বেসরকারি বাস চালকরা। যার জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আর শুধু তাই নয় ভোগান্তির শিকার পরীক্ষার্থীরাও। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাস চালকরাঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওইদিন গাজলে বেসরকারি বাসের চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে টোটো চালকের বিরুদ্ধে। যার প্রতিবাদে পথ অবরোধের পাশাপাশি পুলিশে অভিযোগ করেন বাস চালকরা। যদিও বাস চালকদের দাবি, অভিযোগের পরেও কোনও ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। এরপরেই বাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন বাস চালকরা। জেলাজুড়ে পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন বেসরকারি বাসের চালকরা। এর ফলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে পরীক্ষার্থীদের।
জানা যায়, মালদা থেকে গাজোল হয়ে চাঁচল যাওয়ার জন্য করলা ভিটা মোড় এলাকায় বাস ঘোরাচ্ছিলেন সঞ্জয় দাস নামে এক। অভিযোগ, সেই সময় একটি টোটো বেপরোয়াভাবে চলে আসে বাসের সামনে, যার ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। ফলে টোটোচালকের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরপর তখনকার মতো মিটে যায় বিষয়টি। বাস নিয়ে তিনি স্ট্যান্ডেও চলে আসেন। অভিযোগ, সেখানে তিনি যখন যাত্রীদের নামাচ্ছিলেন, সেই সময় ওই টোটোচালক ফোন করে আরও বেশকিছু সাঙ্গপাঙ্গকে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপরেই ব্যাপকভাবে ওই বাস চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জয় দাস।
এদিকে ঘটনা কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমস্ত বেসরকারি বাসচালক ও কর্মীরা। অবিলম্বে অভিযুক্ত টোটোচালক সহ মারধরের ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। এমনকী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। ফলে প্রভাব পড়ে মালদা, রায়গঞ্জ, চাঁচল, বালুরঘাট, কালিয়াগঞ্জ সহ বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবার। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। এমনকী দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে পড়তে হয়েছে পড়ুয়াদেরও। কারণ মালদা জেলার নিত্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল বাস। জেলার মানুষ নিত্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই নির্ভর করেন বেসরকারি বাস পরিষেবার উপরে। সেই জায়গা থেকে তাঁদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে মালদা জেলায় বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় গৌড়বঙ্গ বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের। সেই সময়ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। একটি শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ওই সংগঠন। সেই সময়ও হয়রানির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।