শুরু হয়ে গিয়েছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই সময়েই কড়া নির্দেশ দিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ সলমান। রমজান মাসে অনুদানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই বৈদেশিক সাহায্যের জন্য নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে সৌদি আরব।চাঁদা থেকে দূরে
সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসে যারা সাহায্যের নামে চাঁদা বা ভিক্ষা চান তাদের জন্য খারাপ দিন শুরু হয়েছে। এই নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, সৌদি সরকার জানিয়েছে যে রমজান মাসে অনুদান শুধুমাত্র অনুমোদিত চ্যানেল এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা উচিত। সৌদি আরবের প্রশাসন সেখানে কর্মরত নাগরিক এবং প্রবাসীদের এই নিয়ে সতর্ক করেছে। যে অনুমোদিত ব্যক্তি ও সংস্থা রমজানের নামে চাঁদা তোলেন বা টাকা আদায় করেন তাদের সেই কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রমজানে দান করাকে মহৎ মনে করা হয়
রমজান মাসে দান করা ইসলামে অত্যন্ত মহৎ কাজ হিসেবে বিবেচিত। এর সুযোগ নিতে শুরু করে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। রমজান মাসে এই ধরনের তহবিল সংগ্রহকারীদের প্রচুর পরিমাণ রয়েছে। সৌদির প্রশাসন জানিয়েছে, তারা রাস্তা থেকে ঘরে ঘরে পৌঁছে গরীবদের সাহায্যের নামে রমজানের কথা বলে এবং তাদের কাছে টাকা দাবি করে।
যেহেতু রমজানে দান করাকে মহৎ মনে করা হয়, সাধারণ মানুষ এর ফাঁদে পড়ে। সেখানের এক সরকারি মুখপাত্র জানান যে দাতব্য কাজের নিরাপত্তা এবং আয়ের উত্স বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ থেকে নতুন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা যে কিছু সংস্থা বা মানুষ নাগরিক ও প্রবাসীদের কাছ থেকে অনুদান এবং অর্থ চাওয়ার অভিপ্রায়ে টাকা সংগ্রহ করতে রমজানের সুযোগ নিতে পারে।
দান করার উপায়
তবে কীভাবে এই অনুদান দেওয়া যাবে তা নিয়েও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে সৌদি আরব। ওই নির্দেশ অনুসারে, বিদেশে অনুদান দেওয়ার জন্য একমাত্র উপায় হল সলমান সেন্টার ফর রিলিফ অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড (কেএস রিলিফ)। যারা বিদেশে দান করতে চান তাদের শুধুমাত্র কেএস রিলিফের মাধ্যমে তা করতে হবে। যারা এই নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করবে তাদের দায়ী করা হবে এবং সৌদি রাজকীয় প্রবিধানের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সৌদির আরবের বাদশাহের বিবৃতিতে।