বছরের বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন হলে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার্স যেমন সরকার, সরকারি কর্মী, পুলিশ, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি-সহ নানা কিছুর উপর প্রবল চাপ পড়ে। আদর্শ নির্বাচনীবিধি ঘোষণার ফলে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ব্যাহত হয়, যার প্রভাব পড়ে দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে
টু-স্টেপ অ্যাপ্রোচের কথা বলা হয়েছে। প্রথমে লোকসভা ও সব বিধানসভার নির্বাচনকে একসঙ্গে করতে হবে, তার পর পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে যুক্ত করতে হবে
নতুন ইউনিয়ন গভার্নমেন্ট শপথ নেওয়ার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাউসকে দায়িত্ব দেবেন একটি সময় বেছে নিতে, যখন থেকে এটি শুরু করা সম্ভব
রাষ্ট্রপতির এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরে যে সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই সব রাজ্য সরকারের মেয়াদ পুরো ৫ বছর নাও থাকতে পারে। কারণ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগেই সে সব বিধানসভা ভেঙে দিতে হবে
কমিটির সুপারিশগুলি ঠিক ভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কি না, সে জন্য একটি ইমপ্লিমেন্টেশন গ্রুপ থাকবে
সংবিধান সংশোধন করতে হবে। অনুচ্ছেদ ৩২৪এ যোগ করতে হবে যেখানে পঞ্চায়েত ও পুরসভায় একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলা থাকবে। সংশোধন প্রয়োজন অনুচ্ছেদ ৩২৫-এও, তা না হলে একটিমাত্র ভোটার তালিকা ও ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। তবে সংবিধানে যতগুলো সংশোধন হবে, প্রতিক্ষেত্রেই তা সব রাজ্যগুলোকে র্যাটিফাই করতে হবে
আকস্মিক ভাবে যদি কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, যেমন ত্রিশঙ্কু বিধানসভা, অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে রাজ্য সরকারের পড়ে যাওয়া ইত্যাদি, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভার ভোট আলাদ করা হবে। সেই সময়ে ‘সংবিধান সংশোধন বিল’ আনা হবে সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য। এ ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির র্যাটিফিকেশন লাগবে না
জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলি আগে থেকেই লজিস্টিক্যাল ব্যবস্থার বিষয়টি তৈরি রাখবে। যেমন ক’টি ইভিএম বা ভিভিপ্যাট লাগবে। কী ভাবে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়োগ করা হবে