Amit Shah Interview : 'জনতা আমাদেরও শাস্তি দেবে', লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহর মুখে কেন এমন কথা?
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
'জনতা আমাদেরও শাস্তি দেবে'। লোকসভা ভোটের আগে আচমকা কেন এমন কথা মুখে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? ৪০০ আসনের টার্গেট নিয়ে যেখানে ভোটের ময়দানে গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে, খোদ নরেন্দ্র মোদী যেখানে তৃতীয় টার্ম নিয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী, সেখানে তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ডের মুখে এমন আশঙ্কাবাণী কেন?মোদী সরকারকে কেন শাস্তি দেবে জনতা?সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয়, একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তি, তিন তালাক রদ এবং এরপর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আন্তর্জাতিক মিডিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জবাবে তিনি বলেন, 'যে সমস্ত বিদেশি মিডিয়া এই প্রশ্ন তুলছে, তাদের আগে জিজ্ঞাসা করুন, সে সব দেশে কোনও রাজ্যে ৩৭০-এর মতো অনুচ্ছেদ রয়েছে কি? তিন তালাক বা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড রয়েছে কি?' তাঁর সংযোজন, 'যখন জওহরলাল নেহরু দেশ চালিয়েছেন, তারপর রাজীব গান্ধী ৪০০ আসনে জয় পেয়েছে, ইন্দিরা গান্ধী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন, তখন তো তাঁদের কোনও পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তাহলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন?' কংগ্রেস সরকার সঠিক পদেক্ষপ গ্রহণ করেনি, জনতার সঙ্গে ন্যায় করেনি বলে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। মোদী সরকারের সঙ্গেও তেমনটাই হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কী নিয়ে গর্বিত অমিত শাহ?সংবাদসংস্থার ইন্টারভিউতে অমিত শাহ বলেন, 'আমরাও যদি অনুচিত কাজ করি, সংযম না দেখাই, মানুষের সঙ্গে অন্যায় করি, সরকারের যদি কোনও সেল্ফ ডিসিপ্লিন না থাকে তবে আমাদেরও মানুষ সরকার থেকে সরিয়ে দেবে। আমাদেরও জনতা শাস্তি দেবে।' তবে তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীর কাছে রয়েছে ১০ বছরের এ গ্রেড সরকার চালানোর সার্টিফিকেট এবং ২৫ বছর অর্থাৎ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তিনি দেশের ১৩০ কোটি মানুষের সমর্থন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার নেতার আহ্বানে গোটা দেশ এই বিকশিত ভারতের সংকল্প নিয়েছে।'
CAA সম্পর্কে কী ব্যাখ্যা?বিরোধীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যা দিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, '২০১৯ সালে বিজেপি ইস্তাহারে CAA-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিল পাশ হয়ে গিয়েছিল। তবে করোনার মহামারীর কারণে তা কার্যকর করাতে দেরি হল। বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করতে চাইছে। CAA বিজেপির কাছে রাজনীতির বিষয় নয়। CAA কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।'