এই সময়: ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্দেশখালি থেকে তিনটি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। যার মধ্যে একটি গাড়ির মালিক শেখ শাহজাহান, একটি গাড়ি তাঁর ভাই শেখ আলমগীরের। অন্য গাড়িটির মালিক শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর। এই গাড়িগুলির সাহায্যেই শাহজাহান ৫৬ দিন ধরে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে একের পর এক আস্তানা বদলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর।এদিন সকাল সাতটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির আরসাদ মিয়ার বাজার ও ধামাখালি বাজারে পৌঁছে যান ইডির অফিসারেরা। ওই বাজারের পাশেই বাড়ি ইমারত ব্যবসায়ী আইনুর মোল্লা ও মাছ ব্যবসায়ী নজরুল মোল্লার। দুজনের বাড়িতে যায় ইডির দুটি টিম। আরও একটি টিম পৌঁছে যায় নজরুল মোল্লার ছেলে আব্দুল রশিদের বাড়িতে।
তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি শেষে ওই এলাকার আরও এক মাছ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন মোল্লার বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, মূলত এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে। এদিন সে বিষয়েই তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। সবমিলিয়ে ৯ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছু নথি ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
ইডির পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্তের গতি ক্রমশ বাড়াচ্ছে সিবিআইও। এদিন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর এবং সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফিজুর মোল্লাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। নোটিস তারা হাজির হন সিবিআই দপ্তরে।
সূত্রের খবর, শাহজাহানের ফোনের কললিস্ট থেকে আলমগীর এবং মাফিজুরের নাম উঠে এসেছে। ইডির উপর যে হামলা হয়েছিল তার নেপথ্যে এই দুজন জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ৫ মার্চ, অর্থাৎ হামলার দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন, সে বিষয়েই দুজনের কাছ থেকে এদিন জানতে চান সিবিআইয়ের অফিসাররা।
এদিনই ইডির অফিসাররা মামলা সম্পর্কিত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে এদিন আদালতে তোলা হলে ৮ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।