CAA Law : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে স্থগিতাদেশ মামলা গ্রহণ, ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার সেই মামলাগুলি শুনতে রাজি হল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ মার্চ CAA বিধিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট।CAA প্রত্যাহার হবে?এদিকে, বৃহস্পতিবারই সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, একবার যখন কার্যকর হয়ে গিয়েছে তখন কোনওমতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করা হবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালে BJP নিজেদের ইস্তাহারে CAA কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৯ সালে এই বিল পাশ হয়েছিল। তবে করোনা মহামারীর কারণে তা কার্যকর করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। CAA কখনও প্রত্য়াহার করা হবে না। কোনও রাজ্য তা আটকাতে পারবে না।'
'সিএএ-র জন্য সবাই খুশি' উৎসবে মাতল মতুয়া সমাজ
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়াআইন পাশ হওয়ার সাড়ে চার বছরের মাথায়, লোকসভা ভোটের মুখে CAA কার্যকর করেছে মোদী সরকার। তা নিয়েই এখন জোর তর্ক-বিতর্ক দেশের রাজনীতিতে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে সরকারের এই পদক্ষেপের। বিরোধীরা এই আইনকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যা দিয়েছে। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন তাঁরা নিজেদের রাজ্যে CAA কার্যকর হতে দেবেন না। CAA আইন প্রত্যাহারের দাবি জোরালো হচ্ছে। এই মর্মে এবার সুপ্রিম কোর্ট CAA-র উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে করা মামলার শুনানিতে রাজি হওয়ায় নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেন লোকসভা ভোটের আগেই CAA?লোকসভা ভোটের আগে CAA কার্যকর করে আদতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে BJP। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, '২০১৯ সালেই ভারতীয় জনতা পার্টি ইস্তেহারে ক্ষমতায় ফিরলে CAA কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছিল। ২০১৯ সালেই বিল পাশ হয়ে যায়। তারপর তা কার্যকর হতে দেরি হয় কোভিড মহামারীর কারণে। আমি এর আগেও একাধিকবার বলেছি CAA দেশে কার্যকর হবে ভোটের আগেই। এখন আলাদা করে কেন এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? CAA ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য রাজনীতির বিষয় নয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তাই এখানে সময়ের প্রশ্ন অকারণেই তোলা হচ্ছে।'