শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুক কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। গতবার লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। পদ্ম কাননে দিব্যেন্দু যেতেই কটাক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের তরফে।তৃণমূল শিবিরের দাবি, এতদিন বিজেপিতে না গিয়ে ভোটের মুখে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার মানেই তাঁর বিজেপি থেকে টিকিট পেয়ে সাংসদ হওয়ার অভিপ্রায় রয়েছে। তাঁর যদিও যাওয়ার ইচ্ছাই ছিল, তাহলে এতদিন গেলেন না কেন প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। অন্যদিকে, অধিকারী পরিবার থেকেই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করায় পরিবারবাদ নিয়ে খোঁচা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের।
দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করতেই এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিব্যেন্দু অধিকারী তো বিজেপিতে যোগদান করলেন, এখন পরিবারবাদ নিয়ে কী বলবেন মোদীজি।’ পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তাঁর খোঁচা , ‘মোদীর গ্যারান্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করবেন। সেই জল্পনাই সত্যি হল আজ।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই গোটা অধিকারী পরিবার শিবির বদল করে ফেলে। এর আগে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তবে, দিব্যেন্দু অধিকারী এতদিন পর্যন্ত বিজেপিতে যোগদান না করেই ছিলেন। তবে বিজেপিতে যোগদানের পরই তাঁকে কোনও একটি আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিক, দীর্ঘ মানভঞ্জনের পর আজই বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন হয় সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী না করায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন অর্জুন সিং। বিজেপিতে তিনি ফিরে যাচ্ছেন, একথা তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেইমতো আজ, দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে ফিরে যান তিনি। বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উনি তো বিজেপিতে ছিলেন, বিজেপিতেই গিয়েছেন। এটা আর এমন কী বড় বিষয়!’ প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনিও জানিয়ে দেন, অর্জুন সিং তো বিজেপিতেই আছেন। ব্যারাকপুর থেকে তাঁদের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের জন্যেই দল ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে পরিষ্কার বার্তা দেন তিনি।