Amit Shah : CAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিরা কি দেশের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন? খোলসা করলেন অমিত শাহ
এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর কী কী সুবিধা মিলবে? ভারতের অন্য সমস্ত নাগরিকত্বের মতোই সমান অধিকার পাবেন তাঁরাও? এমনটাই প্রশ্ন করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে?CAA-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের কী কী অধিকার?একটি সংবাদসংস্থার সাক্ষাৎকারে CAA সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দেন অমিত শাহ। CAA-এর মাধ্যমে যারা নাগরিকত্ব পাবেন, তাঁদের কি আলাদা কোনও পরিচয় হবে? সমস্ত ক্ষেত্রে কি তাঁদের সেই আলাদা পরিচয় বহন করতে হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ভারতের আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতোই অধিকার পাবেন CAA-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া শরণার্থীরা। তাঁদেরও ভারতের নাগরিক হিসেবে সম্মান দেওয়া হবে। আমার আপনার মতোই এ দেশের সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার পাবেন তাঁরা।'
CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেলে কি ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ বলেন, 'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মারফত ভারতের নাগরিক হলে তাঁরা ভোটেও লড়তে পারবেন। MLA, MP হতে পারবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও হতে পারবেন।'
'সিএএ-র জন্য সবাই খুশি' উৎসবে মাতল মতুয়া সমাজ
CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিরা সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন?কোনওভাবেই কি CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া শরণার্থীরা কি সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন হিসেবে চিহ্নিত হবেন? জবাবে অমিত শাহ বলেন, 'নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর ভরসা রাখুন। আপনাদের রেট্রস্পেক্টিভ এফেক্টের মাধ্যমে আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। শরণার্থী হিসেবে সরকার আপনাকে আইনি স্বীকৃতি দেবে। কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। সর্বোপরি এতদিন ভারতে থাকার দরুন আপনার সমস্ত কর্মকাণ্ডকেও বৈধ হিসেবে ধরা হবে। কারও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সাধারণ নাগরিকের মতোই সমান অধিকার থাকবে তাঁদেরও। ভারতের নাগরিক হবেন তাঁরা।'
বিরোধীদের জবাব শাহেররাজ্যে কোনওভাবেই সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে বারেবারেই ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'সমস্ত বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতি করছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৯ সালে নিজেদের ইস্তাহারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল CAA আনা হবে এবং পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের যে সমস্ত শরণার্থী রয়েছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। এতে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ারও কোনও বিষয় নেই। এই আইন কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।'