• 'ইয়েস স্যার'-র দিন শেষ, স্কুলে ঢুকলেই অভিভাবকদের ফোনে মেসেজ! বাংলায় অভিনব পদক্ষেপ
    এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৪
  • ছাত্রীদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার দিন শেষ। এবার সন্তানরা স্কুলে ঢুকলেই অভিভাবকদের মোবাইলে মেসেজ পৌঁছে যাবে। ছাত্রীদের স্কুলে পাঠিয়ে ঠিকঠাক পৌঁছানো নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার দিন এবার শেষ হল। স্কুলের গেট দিয়ে ছাত্রীরা প্রবেশ করলেই এবার অভিভাবকদের মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে। তাঁরা বুঝতে পারবেন তাঁদের মেয়েরা স্কুলে পৌঁছে গেছে। ডোমজুড়ের সরকার-পোষিত স্কুল বাঁকড়া মোবারক হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ে অভিনব এই ব্যবস্থা চালু হল।স্কুলের ছাত্রীদের জন্য এই ডিজিটাল হাজিরা সিস্টেমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নুরাজ মোল্লা, প্রধান শিক্ষিকা ঝুমা ঘোষ সহ আরও অনেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে স্থানীয় বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, 'অনেক সময়েই ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছলেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। এই নতুন সিস্টেম চালু হলে সেই চিন্তা আর থাকবে না। ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকলেই তাঁদের অভিভাবকদের মোবাইলে সেই মেসেজ চলে যাবে। এর ফলে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বার হওয়া ছাত্রীরা সময়মতো পৌঁছল কিনা, তারা সুরক্ষিত রয়েছে কিনা সেই নিয়ে চিন্তা শেষ হতে চলেছে।’

    ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে এখন থেকে অভিভাবকরাও অনেক চিন্তামুক্ত থাকবেন। বাঁকড়ার মোবারক হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ অন্যান্য স্কুলেও ছড়িয়ে দিতে হবে এমনই বার্তা কল্যাণ ঘোষের কণ্ঠে। সেক্ষেত্রে অভিভাবকরা চিন্তামুক্ত হবেন বলে মনে করছেন তিনি।

    স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নুরাজ মোল্লা বলেন, ‘স্কুলের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে আমরা ছাত্রীদের জন্য এই ডিজিটাল উপস্থিতি ব্যবস্থা চালু করেছি। আমাদের স্কুলে প্রায় এক হাজার ছাত্রী রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের অভিভাবকদের মোবাইলে ছাত্রীদের উপস্থিতি সংক্রান্ত বার্তা পৌঁছে যাবে। সেই মোতাবেক স্কুলের প্রবেশ দরজায় বসানো হয়েছে সেন্সর মেশিন। এই ডিজিটাল উপস্থিতির পাশাপাশি ক্লাসে রোল-কল করেও হাজিরা নেওয়ার ব্যবস্থা যেমন চালু ছিল তেমনই থাকবে।’

    স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে বেজায় খুশি অভিভাবকরাও। তাঁরা বলছেন, ‘স্কুলে যাওয়ার বেরিয়ে ছেলেমেয়েরা ঠিকমত পৌঁছাল কিনা তা আমরা সহজেই জানতে পারব। এর ফলে আমাদের দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হবে।’ পাশাপাশি ছাত্রীদের সুক্ষার বিষয়েও অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
  • Link to this news (এই সময়)