হাওড়া ব্রিজে দুর্ঘটনা। আহত প্রায় আট থেকে দশ জন যাত্রী। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাওড়া ব্রিজে রেলিংয়ে ধাক্কা দেয় বেসরকারি বাসটি। মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি আহত হয়েছেন গাড়ি চালক।এই দুর্ঘটনায় রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে যায় হাওড়া ব্রিজ। ব্য়াপক যানজট তৈরি হয়। রাস্তায় ভিড় জমে যায়। আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ এবং পথচারীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওভারটেক করতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটেছে। দ্রুত যাতে রাস্তা খালি করা যায়, সেই জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বাসটির গতি অনেকটাই বেশি ছিল। অপর একটি বাসকে তা ওভারটেক করতে গিয়েছিল। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। তা ধাক্কা দেয় একটি পিলারে। বাসটির সামনের অংশ রীতিমতো তুবড়ে যায়। প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। বাসের সামনের অংশে থাকা যাত্রীরা আহত হয়েছেন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যাচ্ছিল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজ সবসময় ব্যস্ততম একটি রাস্তা। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় যানচলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আপাতত সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক।
রেষারেষির ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সেই জন্য হামেশাই সতর্কতা অভিযান চালানো হয়ে যাকে পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও। শহরের একাধিক রাস্তায় লাগানো হয়েছে সচেতনতা মূলক পোস্টারও। সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হয়েছে ব্যাপক প্রচার। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে অনেক সময়।
এদিন এক যাত্রী বলেন, বাসটি দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীই চালককে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু, তিনি শোনেননি বলেও অভিযোগ। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।