• 'না বুঝে মন্তব্য নয়', CAA প্রসঙ্গে আমেরিকাকে কড়া বার্তা ভারতের
    এই সময় | ১৬ মার্চ ২০২৪
  • সোমবার থেকে ভারতে জারি করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে আমেরিকা। এবার এই ইস্যুতে বাইডেনের সরকারকে কড়া বার্তা দিল ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ একটা বিষয়। যারা এটা বোঝে না তাদের ‘লেকচার’ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

    কী জানাল ভারত?

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির কড়া জবাব ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এই মন্ত্রক বলেছে যে এটা ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’। শুক্রবার একটি বিবৃতিতে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'যারা ভারতের বহুত্ববাদী ঐতিহ্য বোঝেন না তারা বক্তৃতা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।'সেই সঙ্গে তিনি বলেন, 'ভারতের সংবিধান দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্য ধর্মের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। এতে সংখ্যালঘুদের প্রতি কোন উদ্বেগ বা আচরণের কোন ভিত্তি নেই। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির দ্বারা দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ সম্পর্কে মতামত নির্ধারণ করা উচিত নয়।'

    অবাঞ্চিত মন্তব্য

    দেশে সিএএ চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তানের আমজনতা। এই আইন চালুর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেন তাঁরা। সেই সময়ে আমেরিকার এই মন্তব্যকে অবাঞ্চিত বলেও উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    রনধীর বলেন, 'যারা ভারতের বহুত্ববাদী ঐতিহ্য এবং এই অঞ্চলের বিভাজন-পরবর্তী ইতিহাস সম্পর্কে সীমিত ধারণা রাখেন তাদের দিয়ে বক্তৃতা বা জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করা যায় না।' ভারত যে অভিপ্রায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানানো উচিত বলেও জানান তিনি। রনধীর বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মন্তব্য ‘ভুল, ভুল তথ্য এবং অযৌক্তিক’।'

    কেন এই আইন?

    কী কারণে এই আইন চালু করা হচ্ছে তাও জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে , 'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্য এবং মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতির সাথে পালন করে৷ এই আইন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের একটি নিরাপদ আশ্রয় দেয়৷'

    আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। CAA নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে নয় বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আইন মানবাধিকারকে সমর্থন করে বলেও জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
  • Link to this news (এই সময়)