লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। শনিবারই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্ঘণ্ট প্রকাশের অনেক আগে থেকেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটারদের মন জিততে মরিয়া সব রাজনৈতিক দলগুলি। বিবিধি প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটারদের মন জয় করে অধিক সিট পকেটে পুরতে চাইছে বিরোধী-শাসক দুই শিবিরই। লোকসভা ভোটে এনডিএ-এর পাখির চোখ ৪০০-এর বেশি আসন পাওয়া। এই আবহে সামনে এসেছে এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা রিপোর্ট। আসন্ন লোকসভা ভোটে ৫৪৩ আসনের মধ্যে দেশে কারা ক'টি আসন পেতে পারে?৫৪৩ আসনের মধ্য়ে ক'টি করে আসন পেতে পারে এনডিএ-ইন্ডিয়া?
এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৬টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৫৬টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২১টি আসন।
লোকসভা ভোটে দেশে কারা কত শতাংশ ভোট পেতে পারে?
এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী এনডিএ পেতে পারে ৪৬ শতাংশ ভোট, ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ৩৯ শতাংশ ভোট, অন্য়ান্যদের ঝুলিতে যেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট।
দল হিসেবে বিজেপি-কংগ্রেস কত আসন পেতে পারে?সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৩১৬টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৫৯টি আসন। ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছিল ৫২টি আসন। সেই পরিসংখ্যানের হিসেবে সামান্য কয়েকটি আসন বাড়তে পারে কংগ্রেসের।
দল হিসেবে বিজেপি-কংগ্রেস কত শতাংশ ভোট পেতে পারে? ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে হাত শিবির পেতে পারে ২০ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, বর্তমান সমীক্ষা ও তার থেকে উপলব্ধ পূর্বাভাসটি Voter Opinion Poll Computer Assisted Telephone Interview বা 'CATI' ভিত্তিতে করা হয়েছে। সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ৪১ হাজার ৭৬২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটারের উপর। তার থেকেই জানা গিয়েছে এই ফলাফল। যাঁদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছিল তাঁরা প্রত্য়েকেই ভোটার-তালিকাভুক্ত। সমীক্ষার কাজ চলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত। ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। 'এরর মার্জিন' বা ভুলের মাত্রা কম বেশি ৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহ্য করা হয়েছে। জনমত সমীক্ষার শুধুমাত্র ভোটারদের মনোভাব বোঝার একটা চেষ্টামাত্র। সবসময় যে জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট ঠিক হয় এমনটা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা ভুল হয়। ভোট মিটলে রেজাল্ট প্রকাশ্যে আসলেই তবেই মিলবে আসল তথ্য। সমীক্ষা রিপোর্ট শুধুমাত্র ভোটারদের মনোভাব আঁচের চেষ্টা মাত্র।