Ramadan 2024: রোজা রেখে কাজে যোগ নয় বিমান কর্মী-চালকদের! রমজানে এইসব কাজে কড়া শাস্তি পাকিস্তানে, জানুন নিয়ম
এই সময় | ১৭ মার্চ ২০২৪
চলছে পবিত্র রমজান মাস। মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে রমজানের সময় একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যাঁরা কোনও কোম্পানিতে কাজ করেন তাদের জন্য রমজান মাসে খাবারের দোকানের নিয়মে বদল করা হয়। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন রমজান মাসে পাকিস্তানে কী কী নিষিদ্ধ?
জনসমক্ষে খাওয়া-দাওয়ার নিষেধাজ্ঞা
রমজান মাসে পাকিস্তানেজনসমক্ষে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ । এই সময়ের মধ্যে, সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের আগে কোনও ব্যক্তি কোনও হোটেলে প্রকাশ্যে খাবার খেতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম না মানেন তাহলে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে।ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞারমজান মাসে পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ধূমপান করা যায় না। এই সময় প্রকাশ্যে ধূমপান করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকী গ্রেফতারও করা হতে পারে। এ ছাড়া রমজান মাসে সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের আগে পাকিস্তানে কোন ব্যক্তি কোনও রেস্তোরাঁয় ফাস্টফুড খেতে পারবেন না। রমজানে এমনটা করা করা পাকিস্তানে আইনত অপরাধ।
বিমান ক্রুদের জন্য নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানে সরকার রমজান মাসে একাধিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় উড়ান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ-র পাইলট এবং কেবিন ক্রুরা চলতি রমজান মাসের সকল দিনে, রোজা রাখতে পারবেন না। । বুধবার পিআইএ-র পক্ষ থেকে তাদের সমস্ত পাইলট এবং কেবিন ক্রুদের নির্দেশ দিয়েছে, যে যে দিন ডিউটি থাকবে, সেই দিনগুলিতে রোজা রাখা যাবে না। রোজা রাখলে, ওই দিন যোগ দেওয়া যাবে না ডিউটিতে।
এক মেডিকেল সুপারিশের ভিত্তিতে পাক উড়ান সংস্থা এই নির্দেশ জারি করেছে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, রোজা রেখে কোনও পাইলট বা কেবিন ক্রু বিমান ওড়াতে গেলে, তাঁদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তো তৈরি হবেই, সেই সঙ্গে অন্যদেরও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। মেডিক্যাল সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, রোজা পালন করার সময়, কোনও ব্যক্তি ডিহাইড্রেশনের (সারা দিন যেহেতু জলও পান করা হয় না রোজা রাখলে) শিকার হতে পারেন। এছাড়া, তাঁ কেআলস্য এবং ঘুম ঘুম ভাবও গ্রাস করতে পারে। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোজার সময় মনঃসংযোগ কমে যেতে পারে পাইলট ও কেবিন ক্রুদের। কমে যেতে পারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও। স্ট্যামিনাও কমে যায়।
রোজার সময় পাকিস্তানে কঠোর শাস্তি নয়
পাকিস্তানে পবিত্র রমজান মাসে কোনও বন্দিকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় না। যেমন পাকিস্তান সরকার রমজান মাসে কোনও আসামিকে ফাঁসি দেয় না। যদি কোনও বন্দীর মৃত্যুদণ্ড আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে এবং সেই সময়ে রমজান মাস চলে, তাহলে সেই সাজা স্থগিত করা হয়। রমজান মাসে কোনও আসামির ফাঁসি হয় না পাকিস্তানে।