• Tripura: কালবৈশাখীর দাপটে লন্ডভন্ড ত্রিপুরা, ৪ মৎস্যজীবীর মৃত্যু
    আজকাল | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • সমীর ধর, আগরতলা: শনিবার রাতের প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ত্রিপুরার বহু অঞ্চল। গোমতী নদীর উৎসে অবস্থিত ডম্বুর হ্রদে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকো উল্টে মৃত ৪ জন মৎস্যজীবী। তিন জনের দেহ উদ্ধার হলেও চতুর্থ দেহ উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এবং দমকলের কর্মীরা। ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসল। আচমকা ঝড় উড়িয়ে নিয়েছে ঘরের চাল। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গোমতী, দক্ষিণ জেলা, সিপাহীজলা, খোয়াই ও ধলাই জেলা। আগরতলা সমেত পশ্চিম জেলাতেও দাপট দেখিয়েছে কালবৈশাখী। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা রবিবার সামাজিক মাধ্যমে চার মৎস্যজীবীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ডম্বুর হ্রদ বিস্তৃত রয়েছে গোমতী এবং ধলাই জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার রাত ৯ টার পর ডম্বুরে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। রাত ১০টার পর আচমকাই শুরু হয় বৃষ্টি এবং মুহূর্মুহূ বজ্রপাত। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। ধেয়ে আসে প্রবল ঝড়। নৌকো উল্টে যাওয়ায় বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে মৎস্যজীবীরা উথাল পাথাল ঢেউয়ে সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। রবিবার সকালে প্রথমে একজনের,পরে আরও দু" জনের দেহ উদ্ধার হয়। নৌকো নামিয়ে হ্রদের রাইমা সাইমা এলাকায় চতুর্থ দেহ উদ্ধারের প্রয়াস জারি রয়েছে। চার জনেরই বাড়ি ধলাই জেলার গন্ডাছড়া থানা এলাকার জয়কিশোর পাড়ায়। এদিকে, দক্ষিণ জেলার সাব্রুম মহকুমায় প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বহু বাড়ির টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু বাড়ির চাল উড়ে গেছে। কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা কাছের নিরাপদ স্কুলবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের কর্তারা ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছেন। আধ ঘন্টার ঝড়ে রাজধানী আগরতলা শহরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরো মুখ থুবড়ে পড়ে। রবিবার সকালে কিছু এলাকায় বিদ্যুত্ সরবরাহ আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)