অবশেষে বাংলার জন্য দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। রবিবার ১৯টি আসনের জন্য প্রার্থীদের নামের তালিকা দেওয়া হল। তমলুকে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রবদল করা হয়েছে। আবার কৃষ্ণনগরে মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে রাজমাতাকে। অন্যদিকে উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা তাপস রায়। বারাকপুরে প্রার্থী অর্জুন সিং।
কলকাতা উত্তর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাপস রায়। যা প্রত্যাশিতই ছিল। ভোটের ঠিক আগেই তাপস যোগ দেন বিজেপিতে। উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে তিনি যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। এবার ভোটের ময়দানে তাঁরা মুখোমুখি। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা ছিল। দিলীপের কেন্দ্রবদল হয়েছে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। যেখানে গতবার অল্পের ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। দিলীপের কেন্দ্র মেদিনীপুরে প্রার্থী হয়েছেন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে গতবারের সাংসদদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। রায়গঞ্জে গতবার জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। এবার তাঁকে আনা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। রায়গঞ্জে কার্তিক পালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং গতবার জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। ২০২১ সালের পর যোগ দেন তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিজেপিতে। বারাকপুরে ফের তিনি বিজেপি প্রার্থী।পার্থ ভৌমিককে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করায় গোঁসা হয়েছিল অর্জুনের।
সবচেয়ে বড় চমক বসিরহাটে। ওই কেন্দ্রে মহম্মদ শামিকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। তবে সন্দেশখালির গৃহবধূ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করল বিজেপি। তিনিই শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
এখনও রাজ্যের ৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। এছাড়া শতাব্দী রায়ের বীরভূম, ঝাড়গ্রামে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। এছাড়া আসনসোল কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল ভোজপুরী নায়ক পবন সিংকে। তবে আসানসোল থেকে লড়াই করতে চাননি পবন। সেই হিসেবে দেখতে গেলে রাজ্যের ৪ আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা বাকি বিজেপির।