• রামকৃষ্ণ-ক্ষুদিরাম থেকে উত্তম-সুচিত্রা, এক টুকরো বাংলা ব্যারাকপুর স্টেশনে, দেখুন PHOTOS
    Aajtak | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • পুরো পাল্টে যাচ্ছে ব্যারাকপুর স্টেশনের সাজ। পূর্ব রেল ব্যারাকপুর স্টেশনের চারপাশের বাইরের দেওয়ালগুলিতে রঙিন ছবিতে সাজানোর আয়োজন করে এক বর্ণময় যাত্রার পথে এগিয়ে চলেছে। শিল্পীর হাতে  ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে নানা রঙের ছবি। পাঁচিলের গায়ে ফুটে উঠেছে সিপাহী বিদ্রোহ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু থেকে বাংলার একাধিক মনিষী ও সংস্কৃতির ছবি।

    ঐতিহাসিক ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে বাইরে বেরোলেই দাদা বৌদির বিরিয়ানির দোকানের ঠিক উল্টো দিকে থাকা রেলের পাঁচিলের ধার ঘেঁষে পড়ে থাকতে দেখা যেত নোংরা আবর্জনা। সেই দেওয়ালেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একাধিক ছবি।
     নান্দনিক চিত্রকর্মগুলির বিষয়বস্তু একাধিক। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মরণীয় ঘটনাগুলির চিত্রায়ন থেকে শুরু করে বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ক্রমিক বিবর্তনের রয়েছে। উল্লেখ্য, ব্যারাকপুরকে ইতিমধ্যেই ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে ফলে অতি দ্রুত গতিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাথে সাথে এটি সামগ্রিকভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে।

    ৭৫০ মিটার দীর্ঘ রেলের প্রাচীর, বারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ঐতিহাসিক কাহিনীর এক অপূর্ব ক্যানভাসে পরিণত হয়েছে। এই চিত্রকর্মগুলি আমাদের জাতির গৌরবময় অতীতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে জীবন্ত করে তুলেছে। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে মঙ্গল পাণ্ডে'র বিদ্রোহ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির অবদান-এর মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি এই চিত্রকর্মগুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিপাহী বিদ্রোহ-এর অমর কাহিনী এবং স্বামী বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-র মতো জাতীয় বীরদের সম্মান জানিয়ে তাদের চিত্রকর্ম দেওয়ালগুলিকে আরও মহিমান্বিত করে তুলেছে। এই প্রকল্প বারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনকে কেবল একটি যাত্রাবিরতির স্থান থেকে বদলে করে তুলেছে ইতিহাসের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

    এই উদ্যোগটি কেবল ঐতিহাসিক স্মৃতিচারণেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং এটি বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপুজোর মতো উৎসবের আনন্দময় মুহূর্তের চিত্রায়ন ও চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী রেলওয়ে প্রাঙ্গণে এক আকর্ষনীয় চমক প্রদান করেছে।

     
  • Link to this news (Aajtak)