• অসন্তোষ প্রকাশ জুন মালিয়ার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ মার্চ ২০২৪
  • নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুর, ২৩ মার্চ? শুক্রবার খড়গপুর শহরের বিভিন্ন ধর্মস্থান ঘুরে প্রচার শুরু করেন মেদিনীপুর লোকসফভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়া৷ প্রচারের ফাঁকেই ওল্ড সেটেলমেন্ট বালাজি মন্দিরে নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে গিয়ে শহর নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন জুন৷ এই বৈঠকেই তিনি ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷
    প্রচারের প্রথম দিনে শুরুর পর্বে নিমপুরা গুরুদোয়ারায় আরও বেশি সংখ্যক কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি আশা করেছিলেন জুন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, প্রথম অনুষ্ঠানে দলের সব কাউন্সিলরকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত অনেকেই হাজির ছিলেন না৷ এদের মধ্যে ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন প্রধান চিকিৎসার কারণে মুম্বইয়ে আছেন৷ উপপুরপ্রধান তৈমুর আলি খান জানান রমজান মাসের জন্য তিনি যেতে পারেননি৷ সব কাউন্সিলরকে নূ্যনতম ১৫-২০ জন করে লোক নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত বি. হরিশকুমার এবং মুকেশ হামনে ছাড়া অন্য কোনও তৃণমূল কাউন্সিলর লোক নিয়ে যাননি৷ বেশিরভাগ কাউন্সিলর একজন সঙ্গীকে নিয়ে হাজির হন৷ সেখানে অন্তত পাঁচশ লোকের জমায়েত হওয়ার কথা সেখানে দেড়-দু’শ লোক নিয়েই কর্মসূচি শুরু হয়৷ জুন মনে করছেন, তিনি খড়গপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন৷ শিডিউলের বাইরে ১৪নং ওয়ার্ডে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সংবর্ধনা দেন তৃণমূলকর্মীরা৷ সেই নিয়েও জরুরী বৈঠকে জুন উষ্মা প্রকাশ করেন৷
    গোলবাজার চাঁদনীচক দুর্গামন্দির এবং জামা মসিজিদও তাঁর সঙ্গে সিংহভাগ কাউন্সিলর ছিলেন না৷ কর্মী সংখ্যাও ছিল অনেক কম৷ দুর্গামন্দির থেকে মসজিদ হেঁটে যাওয়ার পতে সঙ্গী কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা কম থাকায় অসন্তোষের কথা জানান জুন৷ ২০নং ওয়ার্ডে মাতা মন্দিরে প্রায় সঙ্গীবিহীন অবস্থাতেই হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী৷ এরপরেই বালাজি মন্দিরে জরুরী বৈঠক ডেকে নিজের ক্ষোভের কথা জানান জুন৷
    এই প্রসঙ্গে ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেন, সকাল থেকে ওনার সঙ্গে ঘুরছিলাম৷ যথেষ্ট বয়স হয়েছে৷ তাই মাতা মন্দির থেকে বাড়ি চলে যাই৷
    বৈঠকে মুখে শিডিউল মেনে চলার কথা বললেও প্রেমবাজারের সভার শেষে মেদিনীপুর ফেরার পথে তালবাগিচায় ৩৫নং ওয়ার্ডে কালীমন্দিরে যান জুন৷ কার ডাকে, এলাকার মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলরকে না জানিয়ে জুন ৩৫ নং ওয়ার্ডে গেলেন তাই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৩৫নং ওয়ার্ডের তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে৷ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউন্সিলর এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরাকে অভিযোগ জানিয়েছেন৷
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)