দোহার আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেন হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনরা। ম্যাচের একমাত্র গোল মিশি বাতশুয়েইয়ের। এই একটি মুহূর্ত ছাড়া নব্বই মিনিটের অধিকাংশ সময় কানাডার। গোল লক্ষ্য করে ২২টি শট নেয় ডেভিস, বুচাননরা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। দলে একজন অভিজ্ঞ পজিটিভ স্ট্রাইকার থাকলে এদিনই চলতি বিশ্বকাপের তৃতীয় অঘটন ঘটে যেত। চোটের জন্য রোমেলু লুকাকুকে ছাড়া নেমেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু একেবারেই আশা জাগাতে পারেনি। উল্টে রেড ডেভিলসদের রক্ষণকে নাচিয়ে দেয় কানাডার অনামী ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে তাও কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে বেলজিয়াম। কিন্তু সার্বিকভাবে অনেক বেশি সপ্রতিভ এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে কানাডা। হাজার্ড, ডি ব্রুইনদের আছে এটা আগাম অ্যালার্ম।
খেলল কানাডা, জিতল বেলজিয়াম। ম্যাচের ট্যাগলাইন এটা হতেই পারে। খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে বিরতির ঠিক আগে ৪৪ মিনিটে মিশি বাতশুয়েই রেড ডেভিলসদের এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের শেষে বেলজিয়ামের পক্ষে রেজাল্ট ছিল ১-০। তবে ম্যাচের গতি প্রকৃতি অনুযায়ী এই স্কোরলাইন একেবারেই যথার্থ নয়। গোলটা ছাড়া প্রথমার্ধে জঘন্য বিশ্বের দুই নম্বর দল। যেভাবে শুরু করেছিল আন্ডারডগরা, আরও একটি অঘটনের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে ব্যর্থতা এবং কুর্তুয়া বেলজিয়ামকে ম্যাচে রাখে। কানাডার ফিনিশিংয়ের অভাব না থাকলে প্রথমার্ধের শেষে অন্তত দুই বা তিন গোলে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। অঘটনের বিশ্বকাপে সৌদি আরব এবং জাপানের থেকে প্রেরণা নিয়ে নেমেছিল কানাডা। ইডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা সমৃদ্ধ বেলজিয়ামকে কোণঠাসা করে দেয়। ম্যাচের শুরুটা দেখে কে বলবে এই দলের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটাও গোল নেই।
বুধবার রাতে প্রথম গোল তুলে নেওয়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল কানাডা। ম্যাচের আট মিনিটের মাথায় গোল লক্ষ্য করে নেওয়া বুচাননের শট বক্সের মধ্যে ক্যারাসকোর হাতে লাগে। হ্যান্ডবলের আবেদন করেন কানাডার ফুটবলাররা। ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেয় রেফারি। কিন্তু ডেভিসের পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলকিপার কূর্তুয়া। এরপরও গোলের বেশ কয়েকটা সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফিনিশ করতে পারেনি ডেভিস, বুচাননরা। অন্যদিকে একটা সুযোগই কাজে লাগায় বেলজিয়াম। অ্যালডারউইরেল্ডের থেকে একটা লং বল পেয়ে প্রথম টাচেই গোলে রাখেন বাতশুয়েই। আরও একবার গোলের নীচে অনবদ্য কুর্তুয়া। বার তিনেক বেলজিয়ামের পতন রোখেন। তারমধ্যে রয়েছে পেনাল্টি সেভও। তবে ম্যাচ জিতলেও মন জয় করতে পারলেন না ডি ব্রুইনরা।