• আর ১০০০ নয়, মাসে মাসে ১০০০০? মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর প্রতিশ্রুতি ভোটের মুখে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে চালু হওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশ মন জয় করেছে বাংলার মহিলাদের। তা বুঝতে তৃণমূল কংগ্রেসের আর বাকি নেই। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ৫০০ টাকার বদলে একলাফে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে মাসে মাসে। এপ্রিল মাসে ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে রাজ্যের মহিলা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। এরই মাঝে এবার ভোট প্রচারে নেমে কংগ্রেস প্রার্থী দাবি করলেন, কেন্দ্রে যদি তাঁদের সরকার আসে, তাহলে মাসে মাসে ১ হাজার টাকা নয়, বরং ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে মহিলাদের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জায়গায় আনা হবে মহালক্ষ্মী ভাণ্ডার। (আজ বীরভূমের সাঁইথিয়া ভোট প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ দাবি করেন, যদি লোকসভা নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস কেন্দ্রে সরকার গঠন করে, তাহলে বাংলার মহিলাদের মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্যে মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হবে। কংগ্রেস প্রার্থীর এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন ভোট প্রচারে মিল্টন বলেন, 'আপনারা সবাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পাচ্ছেন। আপনারা যাতে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে ১০ হাজার টাকা করে পান, তার জন্য ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আমাদের রাজ্যের মা-বোনেদের মাসে মাসে ১ হাজার টাকা নয়, বরং ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এটাই কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের দাবি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন অসুবিধে নেই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তা বন্ধ করবেন না। যদি আমাদের ইন্ডিয়া সরকার যদি ক্ষমতায় আসে। যদি মোদী সরকারকে তাড়াতে পারি, যদি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে পারি, তাহলে ভারতবর্ষের সব মা-বোনেরা বছরে ১ লাখ টাকা করে পাবেন।' (কংগ্রেস প্রার্থী আরও বলেন, 'এটা বাংলার ভোট নয়, এটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভোট নয়। এটা হল কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা মোদীর বিরুদ্ধে ভোট। এই মোদীর বিরুদ্ধে যদি কংগ্রেস-বামকে ভোট দেন, আর যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে বছরে মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক লাখ টাকা করে পাবেন। দুটো সুযোগের সৎ ব্যবহার করুন। তাই মা-বোনেদের অনুরোধ করব, একবার কষ্ট করে সুযোগ দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন করুন।'

    এদিকে কংগ্রেস প্রার্থীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহসভাপতি দীপক দাস বলেন, 'মনে হয় তিনি না বুঝেই বলেছেন। অর্থনীতিটা হয়ত বোঝেন না। ১০ হাজার টাকা করে দিতে গেলে কত টাকা লাগে তিনি হিসাব করেছেন? বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে টাকা দিচ্ছেন তাতেই বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় কত! ওঁর হিসাব মতো তা ১০ গুণ হলে আড়াই লাখ কোটি টাকা খরচ হবে।' এদিকে এই প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হাস্যকর। ওঁরা জানে এখানে জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রয়োজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন ওরা যদি করে দেখাতে পারে তাহলে বিশ্বাস করব।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)