• চার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তা বদলের দাবি তুলল তৃণমূল, নির্বাচন কমিশনের বাইরে ধরনা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ভূপতিনগরে এনআইএ’‌র প্রবেশ এবং মহিলাদের উপর হামলা–সহ বিজেপি নেতার সঙ্গে এনআইএ এসপির ষড়যন্ত্র নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার নয়াদিল্লি গিয়ে এনআইএ’‌র বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে নালিশ জানাতে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দোলা সেন, শান্তনু সেন, অর্পিতা ঘোষরা। তাঁদের দাবি, ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আয়কর দফতরের প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার নিজের কাজে ব্যবহার করছে। গোটা দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি আছে। কিন্তু সে দাবি না মানায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ধরনায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা।

    এদিকে এই ধরনার বসার ১৫ মিনিটের মধ্যে নয়াদিল্লির পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। ডেরেক ও’‌ব্রায়েন, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষের আঘাত লেগেছে এই টানা হ্যাঁচড়ায় বলে খবর। এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের ডিরেক্টরদের এখনই বদল করুক নির্বাচন কমিশন বলে আওয়াজ তোলেন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের আটক করে মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে দোলা সেন বলেন, ‘বিজেপির জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং এনআইএ’‌র মধ্যে কী ভাব– ভালবাসা হল জানি না। তার ফলে ২০২২ সালের ঘটনায় ২০২৪ সালে নির্বাচনের আগে এনআইএ গ্রেফতার করল। তাও রাত সাড়ে তিনটের সময় ভূপতিনগরে এসে। মেয়েদের হেনস্থা করল।’‌

    অন্যদিকে গত দু’সপ্তাহে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে যায়। তাঁরা অভিযোগ জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় নিয়ম অনুযায়ী একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপর যাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে নির্বাচন কমিশনের। মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং শাসকদলের কাউন্সিলরদের যেভাবে নির্বাচনের মুখে তলব করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সেগুলির তথ্য কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়। দোলা সেনের কথায়, ‘এনআইএ স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয় ভোর সাড়ে ৫টায়। আইনশৃঙ্খলার বিষয় রাজ্যের অধীনে। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি আছে। তবু স্থানীয় থানা তো জানবে। সন্দেশখালির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’

    আরও পড়ুন:‌ ‘‌বারাণসীতে কেন? শ্রীরামপুরে দাঁড়িয়ে পড়ুন’‌, মোদীকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কল্যাণ

    এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অশুভ আঁতাত হয়েছে। এনআইএ’‌র সঙ্গেও তাই হয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই বিষয়ে দোলা সেনের আক্রমণ, ‘‌মোদীবাবু যদি মনে করেন, সবই জমিদারি। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁদের সেটা ভুল করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই সমান মাঠে খেলার ব্যবস্থা করুক। বিজেপির জমিদারি যেন বন্ধ হয়। এখনই চার কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানকে বদল করা হোক দাবি করেছি। যাতে বিজেপি ভোটকে ওঁদের খেলার যন্ত্র ভাবতে না পারে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)