• জেলার ৫ লাখ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক তৃণমূলের ‘সম্পদ’ কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে ভোটে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • নির্মাল্য সেনগুপ্ত ,জলপাইগুড়ি: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই ভোটের বাক্সে লক্ষ্মীলাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। তা সে একুশের বিধানসভা হোক বা পরবর্তী সময়ে পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত ভোট। জলপাইগুড়ি জেলাতেও বিজেপির পথের কাঁটা সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। চব্বিশের লোকসভাতেও বিজেপির অন্দরে সবচাইতে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় পাঁচ লাখ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার উপভোক্তা। বিজেপির তাত্ত্বিক নেতারা বলছেন, মহিলা ভোটই আমাদের জন্য অন্যতম একটি চিন্তার বিষয়। তাইতো তাঁদের  মন পেতে আমাদের স্লোগান— নারী শক্তির উপর ভর করেই গড়ব বিকশিত ভারত। হবে শক্তির বন্দনা। প্রচারে বলা হচ্ছে ছ’মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার দিয়েছি আমরাই। চার কোটির বেশি পাকা বাড়ি বানিয়ে মহিলাদের বাড়ির মালিক বানানো হয়েছে। ১০ কোটির বেশি মা-বোনেদের রান্নার গ্যাস সংযোগ দিয়ে রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, এ বছর ২২ জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী জলপাইগুড়ি জেলার সাতটি বিধানসভা এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৯। এর মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬১৪। জেলা প্রশাসনের একটি হিসেব বলছে জলপাইগুড়িতে প্রায় পাঁচ লাখ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। আর এই সংখ্যাতত্ত্বেই শঙ্কা বিজেপির অন্দরে। যদিও জেলা বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা মুখপাত্র শ্যাম প্রসাদ বলেন, আমরা পরিসংখ্যান দেখছি না। আমরা সরাসরি মা বোনদের বোঝাচ্ছি, আজ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে আগামী দিনে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার মতো উপার্জনকারী ছেলে পাবেন না। আমরা সন্দেশখালির কথা বলছি। আমরা তিন হাজার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার কথা উল্লেখ করছি। সেসঙ্গে বলছি, এটা কেন্দ্রের ভোট। শক্তিশালী দেশ গড়তে মোদিজির হাত শক্ত করুন। 

    এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন,  নির্বাচনের দল বিজেপি। ভোট এলে ওদের দেখা যায়। তৃণমূল সর্বক্ষণ থাকে। তার প্রমাণ সম্প্রতি জেলার ঝড় বিধ্বস্তরা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর করার জন্য রাজ্য থেকে বারবার অনুমতি চেয়েও নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি মিলছে না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য ভাবেন, তার বাস্তব ভিত্তি আছে।  ফলে জেলার প্রায় ৫ লাখ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। আগে ৫০০ টাকা পেতেন, এখন এক হাজার টাকা পেতে শুরু করেছেন। এখন তাই আর ফলাও করে বলার মতো কিছু নেই। স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা যে আমাদের পাশে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • Link to this news (বর্তমান)