• নিশীথের বিরুদ্ধে লাগানো ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ, ‘BJP ভয় পাচ্ছে’ কটাক্ষ তৃণমূলের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তাকে হাতিয়ার করে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। কোচবিহার জেলায় মিছিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ পোস্টার, ফ্লেক্স লাগিয়েছে তৃণমূল। সেই ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই তারা ফ্লেক্সগুলি ছিঁড়ে ফেলেছে।

    নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লাগাতার প্রচারের ফলে গত কয়েকদিন ধরেই একাধিকবার উত্তপ্ত হয় কোচবিহার। গত ২৩ নভেম্বরও নিশীথকে নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ফ্লেক্সগুলি ছিঁড়ে দেওয়ায় কোচবিহারে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘বিজেপি ভয় পেয়ে ফ্লেক্স ছিঁড়েছে। এবার জেলাজুড়ে এই ধরনের ফ্লেক্স লাগানো হবে।’ অন্যদিকে, কোচবিহার উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, ‘বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। রাজবংশী সম্প্রদায়ের লোকজন এসব করতে পারেন কারণ নিশীথ একজন রাজবংশী।'

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কোচবিহার শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার এবং ফ্লেক্স লাগায় তৃণমূল। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘চোর ধরো জেল ভরো, সোনার দোকানে চুরির সঙ্গে যুক্ত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের লজ্জা।’ এ বিষয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেও সাংসদ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিশীথ প্রামাণিক আমাদের লজ্জা। উনি সাংসদের ভূমিকাই পালন করেন না।’

    যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ নিশীথ। তিনি আগেই বলছিলেন, ‘রাজনীতি করতে গেলে অনেকের নামে মিথ্যে মামলা করা হয়ে থাকে। এটা খুব খারাপ। তবে আইন যা বলবে তা মেনে চলতেই হবে। আমি নিজেও আইন মেনে চলি এবং সম্মান করি।

    প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে আলিপুরদুয়ারে একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রামাণিকের নাম জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় আলিপুরদুয়ার জেলা আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)