• বিএড, ডিএলএড কলেজকে এনওসি দেওয়ার জন্য ২০ কোটি নিয়েছিলেন মানিক, দাবি ইডি-র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • আদালতে ফের জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মনিক ভট্টাচার্য। কিন্তু দেড় ঘণ্টার জোর সওয়াল জবাবের পরও জামিন মিলল না। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে ছিলেন মানিক। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজত বৃদ্ধির আবেদন করে ইডি। পাল্টা জামিনের আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। আদালত এ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে।

    বৃহস্পতিবার শুনানিতে মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, আর কতদিন তাঁর মক্কলে জেলে থাকবেন। তিনি কোথাও পালাবেন না। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এর সঙ্গে তাঁর বয়সের কথা জানিয়েও জামিনের জন্য আর্জি জানান আইনজীবী।

    এই জামিনের বিরোধীতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, এখনও ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলে ছাড়াও একাধিক আত্মীয়ের কাছ থেকে সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। আদালতে ইডি-র আরও দাবি, কলামন্দিরে বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কলেজগুলিকে ৫০ হাজার টাকা চেক মানিকের ছেলের কোম্পানিতে দিতে বলা হয়। সেই বাবদ ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। মানিকের নির্দেশ মেনেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ ভাবেই 'তোলাবাজি' করেছিলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, এমনই অভিযোগ আদালতে জানিয়েছে ইডি। ইডির-র অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৩২৫ জনকে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার  মানিক মোট ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।

     সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে আরও দাবি করে, কলেজগুলিকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেওয়ার জন্য ২০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল অভিযোগ। এ সংক্রান্ত তথ্য ইডি পরবর্তী শুনানিতে পেশ করবে বলে জানায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)