• মায়ের হাতের বিরিয়ানি-শিমুইয়ে জমজমাট আবিরের ইদ, আর কী পরিকল্পনা রেজওয়ানের?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে খুশির ইদ। সকাল থেকেই বেজায় ব্যস্ত ‘বধুয়া’র আবির মানে অভিনেতা রেজওয়ান রব্বানি শেখ। প্রতিদিন তাঁকে পর্দায় দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। কখনও নবাব কখনও আবার সবার প্রিয় নীল তিনি। খিদিরপুরের বাড়ি ছেড়ে এখন নতুন ফ্ল্যাটে উঠে উঠেছেন অভিনেতা। সেখানেই প্রথমবার খুশির ইদ সেলিব্রেট করছেন রেজওয়ান। সারা মাস রোজা রাখার পর এই দিনে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়। ছোট থেকে এই রেওয়াজেই বড় হয়েছেন রেজওয়ান। শ্যুটিং থেকে ছুটি। শত ব্যস্ততা থাকলেও আজকের দিনটা শুধু পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান অভিনেতা।

    ই বছর ইদ কী ভাবে পালন করছেন তিনি? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে রেজওয়ান বললেন,'আজ সারাদিন বাড়িতেই থাকব। সকাল সকাল টিপু সুলতান মসদিজে গিয়ে নামাজটা পড়ে ফেলেছি। এই বছর ইদটা একটু স্পেশ্যাল কারণ আমার ভাই কলকাতায় এসেছে। বন্ধু-বান্ধবরা বাড়িতেই আসবে, ওদের সঙ্গে আড্ডা হবে, খাওয়া-দাওয়া হবে'।

    ইদ মানেই অভিনেতার কাছে নমাজ পড়া আর রমজানের রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারে বধুয়ার সেটে রেজওয়ানের হাতে তৈরি চিকেন স্টু তো রীতিমতো ফেমাস। রেজওয়ান বললেন, ‘এই বছরেও আমি ৩০টা রোজাই রেখছি। সারাদিন শ্যুটিংয়ের পর আমি রোজার সময় তেল-মশলা একদম পছন্দ করি না। কিন্তু প্রোটিনটাও তো চাই। তাই সেই ডায়েটের কথা মাথা রেখে আমার চিকেন স্টু রেসিপি। বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা সবার এতো লাগবে। আমাদের গোটা ইউনিটে সকলে রেডি হয়ে থাকত কখন ওটা তৈরি করব আর সবাই তাতে ভাগ বসাবে’।

    ছোটবেলা থেকেই মায়ের হাতের বিরিয়ানিতে জমে যায় রেজওয়ানের ইদের দাওয়াত। এই বছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। বললেন, ‘ইদ মানেই নো-ডায়েট। মায়ের হাতের বিরিয়ানি, লাচ্ছা সেমাই, শির-খুরমা, পরোটা হোক বা চাপ সবই আমার ফেবারিট। আর হ্যাঁ, আমি দই বড়াও খেতও দারুণ ভালোবাসি। আজ কিছু বাদ দেব না, সবই খাব। আজ চিট মিল ডে।’

    রেজওয়ান বলেন, ‘আমি কুর্তাটা আগে থেকে বানিয়ে নিয়েছিলাম। তবে আমার ইদের শপিংটা মূলত ভাই করেছে। যদিও বড়দের কাছ থেকে ইদি পাওয়া যায় কিন্তু আমার কাছে উপহার পাওয়াটাই আসল। এবার ইদের বাড়তি উত্তেজনা হল গোটা পরিবার একসঙ্গে। নতুন ফ্ল্যাটে এটা আমাদের প্রথম ইদ, সেটাও একটা এক্সাইটমেন্টের কারণ।’

    ছোটবেলার ইদের কোন জিনিসগুলো খুব স্পেশ্যাল রেজওয়ানের কাছে? অভিনেতা জানালেন, ‘ ইদের টাকাগুলো নিয়ে ছোটবেলায় আইসক্রিম খেতাম। এইদিনটা কোনও বাধানিষেধ থাকত না। কার কাছে কত টাকা জমেছে, প্লাস কার কাছ কত চকচকে টাকা আছে সেটা নিয়ে একটা রেষারেষি ছিল। সকাল সকাল পাঞ্জাবি পরে নামাজ পরতে যাওয়া, বাড়ি ফিরে ফের নতুন জামা পরার উত্তেজনা- এগুলোই না ভোলা স্মৃতি হয়ে মনে রয়ে গিয়েছে’।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)