• ‘মায়ের জন্য নিজের হাতে ইলিশ পোলাও, চিকেনকারি বানাব’, ইদের মেনু জানালেন নূর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার খুশির ইদ (Eid), ইদ-উল-ফিতরের আনন্দে মেতে উঠেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা। আমজনতা থেকে সেলেব্রিটি, বাদ নেই কেউই। এপার বাংলার পাশাপাশি ইদ সেলিব্রেট করছেন ওপার বাংলার সেলেবরাও। এরই মাঝে Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে নিজের ইদের পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর। এই বাংলায় টেলিভিশনের দর্শক অবশ্য তাঁকে ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’র স্বামী বাবু রাজচন্দ্র দাস হিসাবেই চেনেন।

    গাজী আব্দুন নূর জানালেন, ‘ছোটবেলায় যে আনন্দগুলো ভীষণ মধুর ছিল, বড় হয়ে সেগুলিই এখন অনেকটা ফিকে। ইদের ক্ষেত্রেও তাই। এবার ইদে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই, বাড়িতেই থাকব। খাওয়া-দাওয়া করব, আর মা-কে নিয়ে একটু বাইরে কোথাও হয়ত যাব। এখন বাড়িতে সদস্য বলতে আমি আর মা।’

    গাজী আব্দুন নূর বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া তো স্পেশাল হবেই। আমি ৩০টা রোজা রেখেছি। রোজা শেষে ইদের খাওয়া-দাওয়া সত্যিই স্পেশাল হয়। তবে রান্নাবান্না বাড়িতই হবে। আর সেটা আমিই করব। মাকে খাওয়াব।’

    নূর- ‘হ্যাঁ, রান্নাটা এখন আমিই করি। শুধু ইদের জন্য নয়। মাঝে মধ্যেই রান্না করি। আসলে মায়ের বয়স হয়েছে। ৭০-এর উপর বয়স। তাই এই বয়সে মাকে আর রান্নাঘরে যেতে দেওয়া যায় না। সারা বছর রান্নার জন্য একজন লোক আছেন। উনিই রান্না করেন। তবে মাঝেমধ্যে ওই একই রান্না খেতে মায়ের ভালো লাগে না। তখন আমিই করি। এমনও হয়েছে হয়ত ঢাকায় শ্যুটিং করছি। মাঝে ফিরে এসে মায়ের জন্য রান্না করে তারপর আবারও শ্যুটে গেছি। আর ইদেও আমিই রান্না করব।’

    টেলিপর্দার 'রাসমণি'র স্বামী 'রাজচন্দ্র দাস' ওরফেগাজী আব্দুন নূর বলেন, ‘ইদে পোলাও, কিংবা হয়ত ইলিশ পোলাও করতে পারি। চিকেনও করব। কারণ, মা রেড মিট খান না। এই বয়সে খাওয়াও ঠিক নয়। তাই চিকেন আর ইলিশ পোলাও বানাব।’

    নূর- হ্যাঁ, সেটা করেছি। আমি নিজের জন্য ঢাকারই বুটিক থেকে আমার আর মায়ের ম্যাচিং করে পোশাক কিনেছি। আমার জন্য কালো পাঞ্জাবি, আর মায়ের জন্য কালো থ্রি পিস পোশাক কিনেছি। বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে, মা বয়সের কারণে এখন শাড়িটা ঠিক পরে উঠতে পারেন না।

    নূর- বাংলাদেশে আমার তিনটে ছবি রিলিজ করেছে। এছাড়াও টেলিভিশনে কাজ করছি। আর খুব শীঘ্রই হয়ত কলকাতার টেলিভিশনেও ফিরব। কথাবার্তা চলছে, তবে এখনও ফাইনাল কিছু হয়নি। তবে আমি কলকাতায় ফিরতে চাইছি। মাকে নিয়েও যাব।

    প্রসঙ্গত, অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর জন্মসূত্রে বাংলাদেশের যশোরের ছেলে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন সেখানেই। এরপর ২০১১ সালে কলকাতায় আসেন নূর। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এদেশের সরকারের আইসিসিআর বৃত্তিও পান বলে জানা যায়। এরপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি জার্নালিজম নিয়েও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর অভিনয়ে এসে জি বাংলার ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’র সিরিয়ালের রাজচন্দ্র দাসের চরিত্রে ভীষণই জনপ্রিয়তা পান গাজী আব্দুন নূর। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)