• বরাতজোরে ভালুকের হাত থেকে প্রাণ বাঁচল চা শ্রমিকের, আতঙ্ক মালবাজারে
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • West Bengal News টুনাবাড়ি চা বাগানে ভালুকের আক্রমণের হাত থেকে প্রাণে বাঁচল এক চা শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে টুনবাড়ি চা বাগানের ৬ নং সেকসানে ভালুক দেখতে পায় চা শ্রমিক দিলা রায়। কোনওক্রমে ভালুকের (Black Bear) কাছ থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘুম পাড়ানি গুলি করে ভালুক টিকে ধরার চেষ্টায় বন দফতর।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মালবাজার (Mal Bazar) শহর সংলগ্ন টুন বাড়ি চা বাগানে ভালুকের হানায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। চা বাগানের সিনিয়র ফ্যাক্টরি ম্যানেজার শ্যামল ঘোষ বলেন, "বাগানের শ্রমিকেরা ৬ নম্বর সেকশনের স্প্রে করছিলেন। সেই সময় চা শ্রমিক দিলা রায়-এর সামনে চলে আসে একটি ভালুক। ভালুক তাঁকে করতে এলে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। আমরা বন্যপ্রাণী বিভাগকে খবর দিয়েছি।" ঘটনার খবর পেয়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের মালবাজার বন্যপ্রান স্কোয়াডের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁরা চা বাগানের চারিদিকে নেট দিয়ে ঘিরে ফেলেন। বন কর্মী দীপেন সুব্বা বলেন, "ঘুমপাড়ানি গুলি করে ভালুক ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের আধিকারিকেরা আসছেন।"

    চা বাগান এলাকায় ভালুক প্রবেশ করার জন্য গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গলের নিকটবর্তী এলাকায় চা বাগান থাকার জন্য মাঝেমধ্যেই ভালুক লোকালয়ে চলে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আজকে দিলা কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছে। আমরা যথেষ্ট ভয়ের মধ্যে আছি। বন কর্মীরা ভালুক টিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হই।"

    প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর শিকারের খোঁজেই (Alipurduar) কালচিনির দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায়। এক গৃহস্থের পালিত শুয়োর টেনে নিয়ে যায় ওই দুই । ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ব‍্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ ঠাকুরের পালিত শুয়োর টেনে নিয়ে ভাল্লুক দুটি নিকটবর্তী ঝোপে লুকিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত প্রায় দুটো নাগাদ দুটো ভাল্লুক গ্ৰামে ঢোকে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ ঠাকুরের বাড়ির প্রাঙ্গনে হানা দেয়। বাড়ির সামনেই বেঁধে রাখা পোষ্য শুয়োরকে টেনে নিয়ে চলে যায় ভাল্লুক দুটি। আওয়াজ পেয়ে তড়িঘড়ি উঠে পড়ে ওই বাড়ির সদস্যরা। ভাল্লুকের হানায় সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। সকাল হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ভাল্লুক হানা দেওয়ার খবর। খবর পাঠানো হয় বন দফতরে।
  • Link to this news (এই সময়)