Bengali Nababarsha: আবির-সাবিরের তৈরি হালখাতাতেই নববর্ষের পুজো...
২৪ ঘন্টা | ১২ এপ্রিল ২০২৪
প্রদ্যুত দাস: লাল শালুর মোড়কে বাঁধা হালখাতা বানাতে প্রতি বছর বিহার থেকে জলপাইগুড়িতে চলে আসেন ৭১ বছরের মহম্মদ আবির ও ৬৫ বছরের ভাই সাবির হোসেন। রুজির টানে সুদূর বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে আসা আবির ও সাবির দুই ভাই এই শহরে খাতাওয়ালা নামেও বেশ পরিচিত।
বর্তমান কম্পিউটার, মোবাইল ও ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য হালখাতার ব্যবহার আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে গুরুত্ব একেবারে হারিয়ে যায়নি। হালখাতার মাধ্যমে বাংলা নতুন বছরের সূচনা করেন ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। আবিদ খাতাওয়ালার কাছ থেকেই হালখাতা সংগ্রহ করেন তারা। শহরের মাড়োয়ারি ধর্মশালায় থেকে কাজ করেন আবির ও তাঁর ভাই সাবির। জলপাইগুড়ি মার্চেন্ট রোড এলাকায় প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখের আগে দেখা যায় তাদের। বৃদ্ধ আবির ও সারির দুজনেই জানান, পয়লা বৈশাখের আগে রামনবমী থেকেই শুরু হয়ে যায় তাঁদের ব্যবসা। এরপর পয়লা বৈশাখ ও অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত থেকে ফের বিহারে ফিরে যান তিনি। প্রতি বছরই বিক্রি হয় বিভিন্ন ডিজাইনের খাতা। নিজের হাতেই তৈরি করেন সেগুলো। জানান, আধুনিক প্রযুক্তির জন্য হালখাতা চাহিদার এখন অনেকটাই কমেছে। ব্যবসায়ী ববির কুমার মিত্র জানান, 'দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিহার থেকে আসা এই দুই ভাইয়ের হাতে তৈরি খাতা পয়লা বৈশাখের দোকানের জন্য নিয়ে থাকি। রামনবমী,পয়লা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার আগে এঁদের জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই হাত এই খাতা নিয়ে জলপাইগুড়ির টানে হাজির হন এঁরা। খুব ভালো লাগে'।