• Hairiest Boy: দেখতে ঠিক নেকড়ের বাচ্চা, দুনিয়ার লোমশতম শিশু আসলে এক বিরল রোগের শিকার!
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সারা শরীর লোমে ঢাকা। দেখতে যেন ঠিক নেকড়ের বাচ্চা। বিরল রোগে আক্রান্ত এক শিশু। জানা গিয়েছে, শিশুটি ফিলিপাইনের বাসিন্দা। 'ওয়্যারউলফ সিনড্রোম' বা হাইপারট্রিকোসিস বিরল রোগে আক্রান্ত ওই শিশু। এই রোগ প্রতি ১ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে একজনকে প্রভাবিত করে। ইতোমধ্যেই সেই শিশুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। শিশুটিকে বিশ্বের সবচেয়ে লোমশ শিশু বলা হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে অস্বাভাবিক লোমের বৃদ্ধি ঘটায়, যা মুখ ও শরীরকে ঢেকে রাখে। হাইপারট্রিকোসিস জন্মের সময় দেখা দিতে পারে বা এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ হতে পারে।

    আশ্চর্য বিষয় হল, শিশুটির মা এই রোগকে 'অভিশপ্ত' গর্ভাবস্থার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি যে তিনি গর্ভাবস্থা থাকাকালীন একটি বন্য বিড়াল খেয়েছিলেন। ফিলিপাইনে জারেন গামোনদান, মাথা ভর্তি চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর ঘাড়, পিঠ, মুখ এবং বাহুতে লোমে ভর্তি ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, বিড়াল খাওয়ার ফলে এই অবস্থার সূত্রপাত হওয়ার কোনও মেডিক্যাল প্রমাণ নেই।বিশ্ব জুড়ে, মধ্যযুগ থেকে এই ধরণের মাত্র ৫০-১০০ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। শিশুটির মা জানিয়েছে যে, আবহাওয়া খুব গরম হয়ে গেলে শিশুটি প্রায়ই চুলকানি হয়। উপরন্তু, সে তাঁর প্রায়ই চুল কাটে কারণ এটি দীর্ঘ এবং ঘন হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, লেজার হেয়ার রিমুভাল রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী। যদিও, একজন রোগী ফলাফল দেখতে এবং তারপরে এগিয়ে যেতে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ১০ টি সেশনের প্রয়োজন হয়।হাইপারট্রিকোসিস কি?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারট্রিকোসিস উভয় লিঙ্গকেই প্রভাবিত করে, তবে এটি অত্যন্ত বিরল। এই রোগে লোমের অস্বাভাবিক বৃ্দ্ধি হয়। এতে লোমের বৃদ্ধি মুখ ও শরীরকে ঢেকে দিতে পারে বা ছোট ছোপ দিয়ে যেতে পারে। লক্ষণ ও উপসর্গ-সারা শরীরে অতিরিক্ত লোম ছাড়াও, হাইপারট্রিকোসিসের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)