• Bengaluru Cafe Blast: কলকাতায় ৮ বার ডেরা বদল, শেল্টার পুরুলিয়া-দার্জিলিংয়েও! ১ মাস ধরে বাংলায় কবে কোথায় ছিল ২ জঙ্গি?
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র ও কিরণ মান্না: বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত রামেশ্বরম ক্যাফেতে ১ মার্চ বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার কাকভোরে দিঘা থেকে ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতারির পর তদন্তে উঠে আসে ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে কলকাতা লিংক! এরপর যত সময় যাচ্ছে, তত তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় মোট ৮ বার ডেরা বদল করে ধৃত জঙ্গিরা। কলকাতার পাশাপাশি একদিকে যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, কাঁথি ও দিঘায় গা ঢাকা দিয়েছিল ২ জঙ্গি। ঠিক তেমনই পশ্চিমে পুরুলিয়াতেও যায় ২ জঙ্গি। ওদিকে উত্তরে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়েও আত্মগোপন করেছিল ধৃত ২ জঙ্গি। কবে কোথায় ছিল ধৃত ২ জঙ্গি আবদুল মতিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব? তদন্তে জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ কলকাতায় আসে ধৃত ২ জঙ্গি। কলকাতায় অন্ততপক্ষে ৮টি লোকেশনে ছিল তারা। ধর্মতলা চত্বরে ৪টি এবং খিদিরপুর-ওয়াটগঞ্জ চত্বরে ৪টি লোকেশন ছিল। ৪টি হোটেল সহ মোট ৮ বার কলকাতায় ডেরা বদল করে। মাঝে কয়েকদিন শিলিগুড়ি-দার্জিলিং ও পুরুলিয়াতেও শেল্টার নেয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে যায় এগরা, কাঁথি এবং শেষমেশ দিঘায়। বাস ধরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যায় ২ জঙ্গি। ৩ দিন দার্জিলিংয়ে ছিল। ওদিকে ট্রেনে করে পুরুলিয়া যায়। পুরুলিয়ায় ছিল ২ দিন। ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ এই সময়ের মধ্যে পুরুলিয়া ও দার্জিলিংয়ে শেল্টার নেয় ধৃত ২ জঙ্গি। বার বার ঠিকানা বদলে গা ঢাকা দেয় এই ২ জঙ্গি। এনআইএ সূত্রে খবর, মোবাইলে সার্চ করেই হোটেল খুঁজে বের করে ধৃত ২ জঙ্গি। গা ঢাকা দিতে কোথায় যাবে তা ঠিক করে। বার বার সিম কার্ড বদলায় তারা। ৩-৪টি ভুয়ো আধার কার্ডও উদ্ধার করেছেন তদন্তরকারীরা। তারমধ্যে কর্নাটকের ২টি ও মহারষ্ট্রের ১টি আইডি আবদুল মতিন ত্বহার নামে। আর কর্নাটকের ১টি মুসাভির হুসেন সাজিবের। মতিন-ই ছিল মাস্টারমাইন্ড। ২০১৯ সাল থেকে এই মতিনকে খুঁজছে এনআইনএ। ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুতে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। তারপরই আইসিস-এর কর্নাটকের একটি স্লিপার সেলের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ওদিকে ইতিমধ্যেই দিঘার হোটেল থেকে রেজিস্টার, সিসিটিভি ফুটেজ, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক সহ অন্যান্য নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হোটেল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুই জঙ্গি ভেতরের দিকে এই হোটেলে কেন উঠেছিল। আগে কখনও এরা এখানে এসেছিল কিনা? দিঘায় এখন ফাঁকা মরশুম চলছে। তা সত্ত্বেও ভেতরের দিকে হোটেলে কেন? কোনও ছক ছিল কি না? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)