• Illegal Construction: সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল, বেআইনি নির্মাণে এবার কড়া জামিন অযোগ্য ধারা!
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • দেবারতি ঘোষ: শহরে বেআইনি নির্মাণ আটকাতে এবার ৪০১এ ধারাকে আরও কড়া করতে দ্রুত রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এতদিন পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে পুলিস ধরে নিয়ে গেলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল সর্বোচ্চ সাজা ছিল। কিন্তু বেশ কিছু আইনের ফাঁক গলে তারা জামিন পেয়ে যেতেন। এবার সেই ধারাকে আরও কড়া করে জামিন অযোগ্য ধারায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সাজা করা হচ্ছে ১০ বছর জেল হেফাজত। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতারণা আইনও। এই আইন পরিবর্তনের জন্য বিধানসভায় যদি সম্প্রতি কোনও অধিবেশন না থাকে, সেক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স করেও এই আইন পরিবর্তন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। পুর কমিশনার ডিজি বিল্ডিং এবং ল' ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত পুরসভার।প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে আজহার মোল্লা বাগানে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতল বাড়ির একাংশ। ভেঙে পড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট বাড়ির উপর। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় প্রচুর মানুষ ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে। কমপক্ষে ১০ জন প্রাণ হারান।  আহতও হন বহু। সেই ঘটনায় ভেঙে পড়া বহুতল 'বেআইনি' জানিয়ে প্রোমোটারকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন ফিরহাদ হাকিম। গার্ডেনরিচকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটারকে। এর পাশাপাশি, বিপর্যয়স্থল পরিদর্শনে এসে প্রশাসনকে কড়া অ্যাকশন নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বেআইনি আবাসনে জল-বিদ্যুৎ বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ৩০ দিনের মধ্যে আবাসন খালি করার নির্দেশ দেন বাসিন্দাদের। এমনকি ওই বেআইনি আবাসনের এই দুই নির্মাতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্যও পুরসভাকে নির্দেশ দেন তিনি। দরকারে পুরসভা ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা কড়া ভাষায় স্পষ্ট বলেন, গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের পর বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও কড়া হতে হবে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)