• খুন, জখম, ধমকানো, যৌন নির্যাতন, কী অভিযোগ নেই শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগির শেখের গলায় আরও শক্ত হল ইডির ফাঁস। আদালতে ইডি দাবি করেছে, একাধিক ব্যক্তি তাদের বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, জমি দখল, মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন, বন্দুক দেখিয়ে হুমকি এমনকী খুনেও যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। ভেড়ির কোটি কোটি টাকা আলমগিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাদা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। জানিয়েছে, এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম রাখতে তোলাবাজি থেকে ডাকাতি, কিছুই বাদ রাখেনি শেখ।

    সন্দেশখালিকাণ্ডে আগেই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শুক্রবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের PMLA আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। সেখানে ইডি দাবি করে, সন্দেশখালির একের পর এক বাসিন্দা তাদের বয়ানে ইডিকে আলমগির সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।

    ইডির তরফে জানানো হয়েছে, এক ব্যক্তি বয়ানে জানিয়েছেন, জমি দখল, মহিলাদের যৌন নির্যাতন ছাড়াও আলমগির সব সময় সঙ্গে বন্দুক রাখত। সেই বন্দুক দেখিয়ে শাসাত স্থানীয় বাসিন্দাদের। শাহজাহানের নাম করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত সে। আরেক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল আলমগির। মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত সে ও তার বাহিনী। সরকারি টাকা নয়ছয় করত। ভুয়ো বিল দেখিয়ে সরকারি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে পাচার করত সে।

    সন্দেশখালির আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শাহজাহানের হয়ে জমি দখলের মূল কাজটা করতেন আলমগির। জমি দখল করে ইটভাটা, মুরগির খামার তৈরি করেছিল সে। স্থানীয়রা জমির লিজের টাকা দাবি করলে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করত আলমগির, শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লা। এমনকী কয়েকজনকে খুনও করেছে তারা।

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, শেখ সাবিনা ও সাবিনা ফিসারিজ থেকে ২কোটি ১ লক্ষ টাকা গিয়েছে আলমগিরের অ্যাকাউন্টে। মাছ বিক্রির টাকা বলে আলমগির দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি সে। এছাড়া দিদার বক্সের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। তদন্তকারীদের দাবি, বিভিন্ন দুর্নীতির টাকা এভাবে বিদেশে পাচার করেছে শাহজাহান বাহিনী।

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সাক্ষীদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে আদালতকে সব জানাবে তারা। সন্দেশখালির আরও বাসিন্দার বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে। ধৃত আলমগির ও দিদার বক্স মোল্লাকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ED হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)