• Gautam Gambhir: আমি যেমন ওদের চিনি, ওরাও আমাকে চেনে, লখনউ ম্যাচের আগে অকপট গম্ভীর...
    আজকাল | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: গত তিন বছর কেকেআরের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করেছেন, ছক কষেছেন। তিন সাক্ষাতে প্রতিবার নাইটদের হারিয়েওছেন। কিন্তু এবার উলট-পুরাণ। লখনউ সুপার জায়ান্টসদের বিরুদ্ধে ০-৩ এ পিছিয়ে থাকা কেকেআরের খাতা খোলার দায়িত্বে গৌতম গম্ভীর। পারবেন কি তাঁর পুরোনো দলের বিরুদ্ধে নাইটদের জয় এনে দিতে? উত্তরের জন্য নববর্ষের সন্ধে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু বিপক্ষকে হাতের তালুর মত চেনা কোনও বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে না বলেই দাবি কেকেআরের মেন্টরের। গম্ভীর বলেন, "আমি যেমন ওদের চিনি, লখনউও আমাকে চেনে। সবাই সবাইকে ভালভাবেই চেনে এবং জানে। সবটাই নির্ভর করছে সাড়ে তিন ঘণ্টায় পারফরম্যান্সের ওপর। সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওদের জন্য বিশেষ কোনও প্ল্যান নেই। ওরা আমাকে ভালভাবে চেনে। গত তিন বছরে আমি কেকেআরের বিরুদ্ধে যাবতীয় প্ল্যান করেছি। তবে তার ওপর কিছু নির্ভর করে না। আমাদের মাঠে নেমে ম্যাচটা জিততে হবে। নতুন দিন। গত দু"বছরে কী হয়েছে সেটা পার্থক্য গড়ে দেবে না। আমরা শূন্য থেকে শুরু করব। এগারোজনের বিরুদ্ধে খেলব। কেউ ফেভারিট নয়। স্কোরবোর্ডে শূন্য শূন্য থেকে শুরু হবে। লখনউ শক্তিশালী দল। তবে আমরাও কম নয়।" চোটের জন্য নতুন পেস সেনসেশন মায়াঙ্ক যাদবকে পাবে না লখনউ। তবে এটাকে নাইটদের অ্যাডভান্টেজ হিসেবে দেখছেন না জিজি। বরং তিনি চাইছিলেন মায়াঙ্ক খেলুক। গম্ভীর বলেন‌, "ও নেই বলে আমরা একেবারেই স্বস্তি বোধ করছি না। চ্যাম্পিয়ন দল বিপক্ষকে নিয়ে ভাবে না। শুধু নিজেদের সেরাটা দেয়। আমরা চাই সবাই ফিট থাকুক, এবং আমাদের চ্যালেঞ্জ জানাক। আমরা কাউন্টার করার জন্য তৈরি। তাই আমি বা কেকেআর মোটেই স্বস্তি বোধ করছি না। আমরা চাই বিপক্ষ তাঁদের সেরা দল নিয়েই খেলুক। আমরাও নিজেদের সাধ্য মতো সেরাটাই দেব।"ইডেনে বেগুনি জার্সিতে অর্ধশতরান দিয়ে অভিষেক হলেও,‌পরের তিন ম্যাচে ব্যাটে রান নেই। সুনীল নারিন দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও অল্প রানের মধ্যে ফিরে যাচ্ছেন ফিল সল্ট। ওপেনিংয়ে কি কোনও রদবদল দেখা যাবে? সুযোগ পাবেন গুরবাজ? নাইটদের মেন্টরের কথা শুনে তেমন মনে হল না। গম্ভীর বলেন, "আমি বিষয়টা সেভাবে দেখছি না। আমার মনে হয় ওপেনিং পার্টনারশিপ দারুণ হচ্ছে। আইপিএল শুরুর আগে অনেকে আমাদের ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে নানান মন্তব্য করেছিল। আমার মনে হয় সুনীল এবং সল্ট দারুণ কাজ করছে। ব্যক্তিগতভাবে কী করছে আমরা সেটা দেখছি না। ওপেনিং পার্টনারশিপের পারফরম্যান্স দেখতে হবে। ক্রিকেট দলগত খেলা। টি-২০ ক্রিকেটের প্রধান বিষয় হল ইমপ্যাক্ট তৈরি করা। আমার মনে হয় সেটা ও করতে পেরেছে। সুনীলের সঙ্গে পার্টনারশিপ অনবদ্য। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বদলে আমরা বিষয়টা এভাবে দেখছি।" একেবারেই ছন্দে নেই মিচেল স্টার্ক। প্রথম দু"ম্যাচে বিনা উইকেটে একশো রান দেন। তৃতীয় ম্যাচে জোড়া উইকেট নিলেও আবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যর্থ। তবুও অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন জিজি। এই প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, "চারের মধ্যে আমরা তিনটে ম্যাচ জিতেছি। খুশি হব না কেন! সবার ভাল এবং খারাপ ম্যাচ যায়। আমাদের প্রথম চার ম্যাচে পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। আমরা সবাই জানি মিচেল স্টার্ক কতটা ভয়ঙ্কর বোলার। জানি ও কী করতে পারে। আমরা ম্যাচ না জিতলে হয়তো আমার উত্তরটা অন্যরকম হত। টিমগেমে জয়ই আসল। তাই ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে আলোচনা করার কোনও দরকারই নেই। আমি নিশ্চিত ও আগামী ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে।" কলকাতায় পরপর পাঁচটা ম্যাচ খেলবে কেকেআর। কিন্তু পাঁচটা ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না। শুধু আরেকটা ম্যাচ হিসেবেই লখনউ ম্যাচকে দেখছেন। গত ২০ দিন কলকাতার বাইরে ছিল দল। ম্যাচ প্রতি এগোতে চান নাইটদের মেন্টর। চারের মধ্যে তিন ম্যাচ জিতলেও তিনি মনে করেন, পারফেক্ট গেম বলে কিছু হয় না। অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্কে খুশি। বিতর্কে নাক গলাতে চান না। পজিটিভ ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য। তবে শুধু হোম নয়, সব ম্যাচেই দলের ভাল রেজাল্ট আশা করেন গম্ভীর। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও যথেষ্ট সন্তুষ্ট। অঙ্গকৃষদের পারফরম্যান্সেরও প্রশংসা করেন দু"বারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক।
  • Link to this news (আজকাল)