• চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবার বেহাল দশা, ক্ষোভ উন্নয়নের আশ্বাস তৃণমূল এমপির
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: একটিই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ বোর্ড ঝুলছে দু’টি। একটাতে লেখা চাকুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অন্যটিতে, চাকুলিয়া রুরাল হাসপাতাল। ব্লক প্রাথমিক, নাকি গ্রামীণ হাসপাতাল, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে কয়েক বছর থেকে। পাশাপাশি এই গ্রামীণ হাসপাতালে ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। একটু জটিল সমস্যা হলেই রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে চাকুলিয়াবাসীদের মধ্যে। তবে বুধবার চাকুলিয়ায় এসে এই গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সাংসদের এই আশ্বাসের কথা শুনে অবশেষে তাঁদের দাবি পূরণ হতে চলেছে বলে আশার আলো দেখছেন চাকুলিয়াবাসী।

    জানা গিয়েছে, চাকুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কয়েক বছর আগে কাগজে কলমে গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। অভিযোগ, এতদিনেও গ্রামীণ হাসপাতালের কোনও পরিকাঠামোই তৈরি করা হয়নি। যা নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তরে যোগাযোগ করেছে। 

    বুধবার বিকেলে চাকুলিয়ার শিরশি ফুটবল ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি জনসভা ছিল। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন, চাকুলিয়ায় নামেমাত্র একটি গ্রামীণ হাসপাতাল আছে। যেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। তবে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন তিনি। সভা শেষে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মিনহাজুল আরফিন আজাদ, দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সহ অনেকেই। 

    পরিদর্শনের পরে শান্তনুবাবু বলেন, ৩০ শয্যার এই হাসপাতালটি এখনও বিপিএইচসি পর্যায়েই রয়েছে। রুরাল হাসপাতাল লেখা আছে, কিন্তু বাস্তবায়িত এখনও হয়নি। কিছু কিছু জিনিসের অভাব রয়েছে। সেগুলো যাতে শীঘ্রই করা যায়, ফিরে গিয়ে সেব্যাপারে আমি স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবো এবং নেতৃত্বকেও জানাবো। এখানে ১৯৭৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মানুষ আমাদের সেভাবে সুযোগ দেয়নি। ২০২১-এর পরে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে বিধায়ক কাজ শুরু করেছেন। 

    এদিকে, চাকুলিয়ার বিধায়ক মিনহাজুল আরফিন আজাদ বলেন, খুব শীঘ্রই গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি হবে। এক্সরে, ইসিজি, ইউএসজি এই সমস্ত পরিষেবা হাসপাতালে চালু হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)