• শচীন পাইলট ‘গদ্দার’, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, তোপ অশোক গেহলটের
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • পালি (রাজস্থান): রাজস্থানে বিধানসভা ভোট আর মাত্র বছর খানেক দূরে। যদিও রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই রাজপুতানায় কংগ্রেসের ফাটল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দুই কংগ্রেস নেতার হারাকিরি রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বৃহস্পতিবার নিজের দলের নেতা শচীন পাইলটকে  ‘গদ্দার’ তকমা দিলেন। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ পাইলট সম্পর্কে এর আগে এত কঠোর ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন এক সাক্ষাৎকারে গেহলটের তোপ, কোনও গদ্দার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না। ১০ জন বিধায়কেরও সমর্থন তাঁর নেই। ২০২০ সালে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন। শুধু তাই নয়,সেই বিদ্রোহে বিজেপি টাকা ঢেলেছিল বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। যদিও গেহলটের দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বীর অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছেন পাইলট। সেইসঙ্গে কর্তব্য ও দায়িত্বর কথা স্মরণ করিয়ে গেহলটকে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রা অংশ নিতে মধ্যপ্রদেশে উড়ে গিয়েছেন পাইলট। গেহলটের আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ অপ্রয়োজনীয়। এখন কীভাবে দলকে শক্তিশালী ও ভারত জোড়ো যাত্রাকে সফল করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। দেশে বিজেপিকে টক্কর দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। গুজরাতের আসন্ন ভোটে দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা গেহলট।  বিজেপিকে হারাতে সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা দরকার। গেহলটের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাবধানী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, অশোক গেহলট প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তরুণ সহকর্মী শচীন পাইলটের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে তিনি যে মত ব্যক্ত করেছেন, তার সমাধান করা হবে। যাতে  দল আরও শক্তিশালী হয়।  

    ২০২০ সালে বিদ্রোহী হয়ে ১৯ জন কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির কাছে একটি পাঁচ তারা রিসর্টে উঠেছিলেন পাইলট। শেষপর্যন্ত অবশ্য রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন পাইলট। শাস্তি হিসেবে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদও খোয়া যায় তাঁর। তবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার পাওয়ার চেষ্টা ছাড়েননি পাইলট। সেই দাবিতে সম্প্রতি ফের চাপ বাড়িয়েছে পাইলট শিবির। এই আবহেই এদিন মুখ খুললেন গেহলট। গোটা সাক্ষাৎকারে পাইলটকে ছ’বার গদ্দার বলে নিশানা করেছেন তিনি। ২০২০ সালের ঘটনা প্রসঙ্গে গেহলটের অভিযোগ, সেই সময় পাইলট দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপি 

    নেতা অমিত শাহ ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গী বিধায়কদের কেউ ৫ কোটি, কেউ আবার ১০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। দিল্লির বিজেপি দপ্তর থেকে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল। যদিও গেহলটের অভিযোগ উড়িয়ে  রাজস্থানের বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেছেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যর্থ। রাজস্থানে তারা ক্ষমতা হারাতে চলেছে। সেই কারণেই গেহলট হতাশ। নিজের ব্যর্থতার দায় তিনি বিজেপির উপর চাপাচ্ছেন। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)