• চাষিদের সুবিধার্থে আরামবাগে দুয়ারে ধান ক্রয় কেন্দ্র
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগের চাষিদের থেকে এবার ধান কিনবে ভ্রাম্যমাণ সিপিসি (সেন্ট্রালাইজড প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার)। প্রত্যন্ত এলাকার চাষিদের সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ। এতদিন মহকুমার ১৩টি স্থায়ী সিপিসিতে গিয়ে চাষিদের ধান বিক্রি করতে হতো। এবার খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরাই সিপিসি নিয়ে পৌঁছে যাবেন চাষিদের কাছে। প্রত্যেক ব্লকের পাঁচটি জায়গা থেকে ধান কেনা হবে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে ব্লক প্রশাসন ধান কেনার জায়গাগুলো ঠিক করবেন।

    প্রশাসনের নতুন নিয়মে অনলাইনেই চাষিরা এখন ধান বিক্রয়ের দিন ঠিক করতে পারছেন। গ্ৰামের প্রত্যন্ত এলাকাগুলো থেকে চাষিদের কষ্ট করে স্থায়ী সিপিসিতে ধান বিক্রি করতে আসতে হবে না। ভ্রাম্যমাণ সিপিসিই পৌঁছে যাবে চাষিদের কাছে। মহকুমার ছয়টি ব্লকের প্রতিটিতে পাঁচটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ সিপিসিগুলো থাকবে। ভ্রাম্যমাণ ধান্য ক্রয় কেন্দ্রগুলো এমনভাবে করা হবে যাতে চাষিদের অনেকটা পথ যেতে না হয়। বর্তমানে আরামবাগে স্থায়ী ১৩টি সিপিসি আছে। যার মধ্যে আরামবাগ ব্লকে আছে ৩টি। গোঘাট-১ ব্লকে আছে ২টি। গোঘাট-২ ব্লকে আছে ৩টি। খানাকুল-১ ব্লকে আছে ২টি। খানাকুলে-২ ব্লকে আছে ১টি। পুরশুড়ায় আছে ২টি। আরামবাগ মহকুমার খাদ্যদপ্তরের নিয়ামক অভিজিৎ মাইতি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই এই ভ্রাম্যমাণ সিপিসিগুলো চালু হয়ে যাবে। ব্লকের পাঁচটি জায়গায় এই ভ্রাম্যমাণ সিপিসিতে চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। আরামবাগ ও খানাকুল-১ ও ২ ব্লকের মতো বড় এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ শিবিরে এসে ধান বিক্রি করতে চাষিদের সুবিধা হবে। আরামবাগ ব্লকের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ সিপিসিগুলো কোথায় করা হলে চাষিদের সুবিধা হবে সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দূরবর্তী গ্ৰাম ও নদী দিয়ে ঘেরা এলাকার চাষিদের কথা মাথায় রেখেই ভ্রাম্যমাণ সিপিসির স্থান ঠিক করা হবে। খানাকুলের কাকনান এলাকার চাষি লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল বলেন, আমাদের এই এলাকা নদী, খাল ও নালা দিয়ে ঘেরা। অনেক জায়গায় বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে আসতে হয়। শুনছি এবার ব্লকের পাঁচটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ সিপিসিতে ধান বিক্রি করা যাবে। এই উদ্যোগ শুরু হলে খানাকুলের মতো এলাকার চাষিদের খুব সুবিধা হবে। আরামবাগের বাতানল গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, আরামবাগের মতো বড় এলাকায় এতদিন ৩টি স্থায়ী সিপিসি ছিল। অনেকটা পথ পেরিয়ে চাষিদের সিপিসিতে যেতে হতো। আগে সিপিসিতে এসে ধান বিক্রি না হলে চাষিদের ফিরে যেতে সমস্যা হতো। যাতায়াতের খরচের সঙ্গে ছিল হয়রানি। নতুন এই উদ্যোগে চাষিরা উপকৃত হবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)